নিজস্ব প্রতিবেদন: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কোনও ইউরোপীয় (Europe) দেশে সবচেয়ে বড় হামলা হল। মস্কো (Moscow) স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথে একযোগে হামলা চালানোর পর ইউক্রেনীয় (Ukraine) বাহিনী বৃহস্পতিবার তিন দিকথেকে আসা রুশ (Russia) হানাদারদের সঙ্গে লড়াই করেছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বলেছে যে ইউক্রেন আক্রমণের প্রথম দিন তারা তাদের সমস্ত লক্ষ্য অর্জন করেছে। ৮৩টি স্থল-ভিত্তিক ইউক্রেনীয় লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করেছে তারা। ইউক্রেনের পুলিশ জানিয়েছে, সারা দিনে রাশিয়া ২০৩টি হামলা চালিয়েছে।


ইউক্রেনের লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ হয়েছে। উত্তর ও পূর্ব দিকে রাশিয়া এবং বেলারুশের (Belarus) সীমানা দিয়ে রুশ সৈন্য ঢুকেছে কিয়েভে (Kyiv)। এছাড়াও দক্ষিণ-পশ্চিমে কৃষ্ণ সাগর এবং দক্ষিণ-পূর্বে আজভ সাগর থেকে উপকূলে রুশ সেনা অবতরণ করেছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেন।


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন, এবং "অবিলম্বে হিংসা বন্ধ করার" আবেদন জানিয়েছেন তিনি। ভারত সরকার ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের সরিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা জোরদার করেছে।


রাত নামার সঙ্গে সঙ্গে ইউক্রেনের মাটিতে যা ঘটছে তা খুবই বৈশিষ্টপূর্ণ। উত্তর-পূর্বে সুমি (Sumy) এবং খারকিভ (Kharkiv) এবং দক্ষিণে খেরসন (Kherson) এবং ওডেসা (Odessa) অঞ্চলে ভয়াবহ লড়াই চলছে।


ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের একজন উপদেষ্টা জানিয়েছেন যে রাশিয়ান বাহিনী রাজধানী থেকে মাত্র ৯০ কিলোমিটার উত্তরে চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং কিয়েভ অঞ্চলের হোস্টোমেল বিমানবন্দর (Hostomel Airport) দখল করেছে। এখানে প্যারাট্রুপারদের শুরুতে অবতরণ করানো হয়েছিল। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskiy) ইউক্রেনীয়দের কাছে নিজেদের দেশ রক্ষার আহ্বান জানান। তিনি বলেছেন যে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত যে কোনও মানুষকে অস্ত্র দেওয়া হবে।


আরও পড়ুন: Russia-Ukraine War: ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ USA-র, যৌথ প্রতিক্রিয়ায় জোর


প্রেসিডেন্ট পুতিন ( President Vladimir Putin) ভোরের এক টেলিভিশন ভাষণে যুদ্ধ ঘোষণা করার পর, ৩ মিলিয়ন জনসংখ্যার শহর কিয়েভে সারা সকাল জুড়ে বিস্ফোরণ এবং গুলির শব্দ শোনা যায়। বাসিন্দারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করায় শহরের বাইরের মহাসড়কটি যানজটে অবরুদ্ধ হয়ে যায়। মস্কোর ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে পুতিন বলেছেন, হামলার ঘোষণা ছাড়া তার কাছে কোনও বিকল্প নেই।


হতাহতের অসমর্থিত প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে রাশিয়ার বোমা হামলায় নিহতদের মধ্যে ইউক্রেনীয় নাগরিক এবং সীমান্তরক্ষীরা রয়েছেন। দক্ষিণের ওডেসা অঞ্চলের আধিকারিকরা জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১৮ জন নিহত হয়েছেন। কিয়েভের কাছে একটি শহর ব্রোভারিতে (Brovary) অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সেখানকার আধিকারিকরা। ইউক্রেনের তরফে জানানো হয়েছে যে একটি বিমানকে গুলিকরে নামানোর সময়ে পাঁচজন নিহত হওয়েছে।


ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে যে তারা খারকিভের কাছে চারটি রাশিয়ান ট্যাঙ্ক ধ্বংস করেছে, লুহানস্ক অঞ্চলের একটি শহরের কাছে ৫০ জন রুশ সেনাকে হত্যা করেছে এবং পূর্বে ছয়টি রাশিয়ান যুদ্ধবিমানকে গুলি করে নামিয়েছে। রাশিয়া তাদের বিমান অথবা সাঁজোয়া গাড়ি ধ্বংস হওয়ার খবর অস্বীকার করেছে। রুশ সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ইউক্রেনের দুটি বিমান গুলি করে নামানোর দাবি করেছে।


আক্রমণের মাধ্যমে পশ্চিমী নেতাদের যুদ্ধ এড়ানোর লক্ষ্যে কয়েক সপ্তাহের নিষ্ফল কূটনৈতিক প্রচেষ্টার একটি বিপর্যয়কর সমাপ্তি ঘটিয়েছে। পুতিনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা সম্পর্কে তাদের ভয় বাস্তব রূপ পেয়েছে।


মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (US President Joe Biden) রাশিয়ার এই পদক্ষেপকে "প্ররোচনাহীন এবং অযৌক্তিক আক্রমণ" বলে অভিহিত করেছেন এবং "জোরদার নিষেধাজ্ঞা" এবং রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা করেছেন। বাইডেন ইউক্রেনকে রক্ষা করার জন্য মার্কিন সেনা পাঠানোর কথা অস্বীকার করেছেন। তবে ওয়াশিংটন এই অঞ্চলে ন্যাটো মিত্রদের অতিরিক্ত সৈন্য ও বিমান দিয়ে সাহায্য করেছে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)