নিজস্ব প্রতিবেদন: নয়া দিল্লিতেই বসছে ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক ২+২ বৈঠক। ‘অনিবার্য কারণবশত’ বৈঠক বাতিল না হলে আগামী মাসের ৭ তারিখ আলোচনা হতে পারে ভারতের বিদেশ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গে মার্কিন বিদেশ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের। বহু প্রতীক্ষিত এই বৈঠকটি সেপ্টেম্বরেই হওয়ার নিশ্চিত করেছেন মার্কিন প্রিন্সপল ডেপুটি অ্যাসিটেন্ট সেক্রিটারি অ্যালিস ওয়েলস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অ্যালিস জানিয়েছেন, ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘সব মরসুমের বন্ধু’। তিনি বলেন, “ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক এবং সামরিক সম্পর্ককে আরও উন্নতি করতে এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক।” মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় নিরাপত্তা ক্ষেত্রে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলে জানান ওয়েলস। এই বৈঠকে দুই দেশের সমরিক ও নিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি দক্ষিণ-এশিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরের দখলদারি সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


আরও পড়ুন- দুই দেশের বিদেশ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বৈঠক বাতিল হোয়াইট হাউজের


উল্লেখ্য, মার্কিন সামরিক বাহিনীতে ভারতকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয় ২০১৬ সালে। সম্প্রতি দুই দেশের সামরিক লেনদেনেও উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। ২০০৮ সালে ‘জিরো’ থেকে বর্তমানে ১৮ বিলিয়ন ডলার  সামরিক লেনদেন হয়েছে দুই দেশের। পাশাপাশি সমৃদ্ধি পেয়েছে বাণিজ্যিক সম্পর্কও। এখনও পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে ১২৬ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। গত বছর ১০ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্য করে দুই দেশ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সম্পর্ক বিস্তৃতিতে ভারতকে পাশে চাইছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই ২+২ বৈঠকে শ্রীলঙ্কা, নেপাল-সহ ছোট দেশগুলির সঙ্গে সুদৃঢ় কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে হোয়াইট হাউস ভারতের সাহায্য চাইবে বলে জানা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, ভারতের সঙ্গে ২+২ বৈঠক আলোচনা একাধিকবার বাতিল করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন।


আরও পড়ুন- ইমরানের গুরু লালুপ্রসাদ ‌যাদব, নয়া প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা বিরোধীদের


গত জুলাইয়ে হোয়াইট হাউজে এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বাতিল করা হয়। ‘অনিবার্য কারণবশত’ এই বৈঠক বাতিল করা হচ্ছে বলে জানায় হোয়াইট হাউজ। কিন্তু কী এই অনিবার্য কারণ, যে বিষয়ে কোনও ব্যাখ্যা জানানো হয়নি। আগামী মাসে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারমন এবং বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে বৈঠক করে মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও এবং প্রতিরক্ষা সচিব জেমস ম্যাটিস।