পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে কিমকে সময় দিতে স্থগিত রাখছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া যৌথ মহড়া
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায় ইন বৃহ্স্পতিবার জানান, তাদের প্রতিরক্ষা পরিকাঠামো প্রস্তুত রাখা উচিত, যাতে দরকারে দ্রুত ব্যবহার করা যায়
নিজস্ব প্রতিবেদন: আগামী সপ্তাহে হতে চলা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ মহড়া স্থগিত করতে পারে সিওল। এমনটাই জানাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদসংস্থা ইওনহাপ। কোনও রুটিনমাফিক মহড়া নয় এটি। ফি বছর যথেষ্ট জাঁকজোমক করে কোরিয় উপদ্বীপে সামরিক মহড়া চালায় দক্ষিণ কোরিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সূত্রে খবর, আপাতত এই মহড়া স্থগিত রাখার কথা ভাবছে দুই দেশ।
আরও পড়ুন- অজগরের পেটে আস্ত মানুষ!
পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে কিম জং উন ব্যর্থ হলে, ফের মহড়া শুরু হবে এমনটা ‘হুঁশিয়ারি’ শোনা গিয়েছে সিওলের তরফে। দক্ষিণ কোরিয়ার নিযুক্ত মার্কিন সেনা যদিও জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত তাদের কাছে এমন কোনও নির্দেশ আসেনি। সিওল এই বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন- খুশির ইদে ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণ আফগানিস্তানে, মৃত কমপক্ষে ২০
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায় ইন বৃহ্স্পতিবার জানান, তাদের প্রতিরক্ষা পরিকাঠামো প্রস্তুত রাখা উচিত, যাতে দরকারে দ্রুত ব্যবহার করা যায়। দুই কোরিয়ার সঙ্গেও এ বিষয়ে একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে বলে খবর। এপ্রিলে প্রথম সাক্ষাত্ হয় দুই কোরিয় রাষ্ট্রপ্রধান কিম এবং মুনের। সেখানে পরমাণু অস্ত্র নষ্টের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার শাসক। এরপর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নতিতে একাধিক বার আলোচনা চালায় কিম-মুন।
আরও পড়ুন- ভিনদেশে প্রথম ইদ পালন করে খুশি রোহিঙ্গারাও
১৯৫৩ সালে কোরিয় যুদ্ধের পর থেকেই দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় ২৫ হাজার মার্কিন সেনা ঘাঁটি গেড়ে উত্তর কোরিয়ার উপর নজরদারি চালিয়েছে। সিঙ্গাপুরে বৈঠকে ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কিমকে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথামতো এবারে যৌথ মহড়া নিয়ে পর্যালোচনা শুরু করে দক্ষিণ কোরিয়া। গত বছর কোরিয় উপদ্বীপে অনুষ্ঠিত উলচি ফ্রিডম গার্ডিয়ান মহড়ায় অংশগ্রহণ করে সাড়ে ১৭ হাজার মার্কিন সেনা এবং ৫০ হাজারের বেশি দক্ষিণ কোরিয়ার সেনা।