নিজস্ব প্রতিবেদন: কাশ্মীর নিয়ে আরও একবার অবস্থান স্পষ্ট করে দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মোদী-ট্রাম্প বৈঠকের আগে ওয়াশিংটন স্পষ্ট করল, জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্যারিসে জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠকে বসবেন নরেন্দ্র মোদী ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই বৈঠকে কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। তার আগে মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিক বলেন,'৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে নিশ্চিতভাবেই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে ট্রাম্প শান্তি ফেরানোর পদক্ষেপের কথা শুনতে চাইবেন। কাশ্মীরের মানবাধিকার কীভাবে রক্ষা করছেন, তাও জানবেন ট্রাম্প।' শুধুমাত্র ভারত চাইলেই কাশ্মীর নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যস্থতা করতে পারে বলেও জানান ওই আধিকারিক। কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতার প্রস্তাব ইতিমধ্যেই দিয়েছেন ট্রাম্প। তবে ভারত সরকার স্পষ্ট জানিয়েছে, কাশ্মীর দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তৃতীয়পক্ষের দরকার নেই। 



মার্কিন প্রশাসনিক আধিকারিক আরও বলেন,'ভারতের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও বাড়াতে আগ্রহী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় পরস্পরের সহযোগিতায় জোর দেবেন।'


বর্তমানে ত্রিদেশীয় সফর করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। খলিজ টাইমস-কে প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাত্কারে জানিয়েছেন, অনুচ্ছেদ ৩৭০ রদ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। গণতান্ত্রিক, সাংবাদিক ও স্বচ্ছ পদ্ধতিতে তার বিলোপ করা হয়েছে।  


কাশ্মীর থেকে অনুচ্ছেদ ৩৭০ প্রত্যাহারের পরও ওয়াশিংটন জানিয়ে দিয়েছিল, কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এরপর চিনের আবেদনে কাশ্মীর নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে সম্মত হয় রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ। ওই বৈঠকের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ফোন করেছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কিন্তু রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের বিপক্ষে যায়নি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। উল্টে পাকিস্তানকে দেওয়া ত্রাণ সাহায্য কমিয়ে দিয়েছে ওয়াশিংটন। সন্ত্রাস দমনে ইসলামাদের পদক্ষেপে সন্তুষ্ট নয় মার্কি্ন প্রশাসন।  


আরও পড়ুন- বাহারিনে ২০০ বছরের প্রাচীন কৃষ্ণ মন্দিরের সংস্কারের সূচনা করবেন মোদী