New Nuclear Gravity Bomb: মার্কিনি বোমায় আধমাইল জুড়ে আগুনের গোলা, ৩ লক্ষ রাশিয়ানের মৃত্যু!
New Nuclear Gravity Bomb: হিরোশিমাতে যে শক্তির পরমাণু বোমা আমেরিকা ফেলেছিল, তার থেকে ২৪ গুণ শক্তিশালী পরমাণু বোমা তৈরি করছে আমেরিকা। কেন করছে? কোথায় ফেলবে? কোন দেশের কপালে নাচছে এই ভয়ংকর আক্রমণের আগুন?
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: না, কোনও যুদ্ধকে সামনে রেখে নয়, কাউকে ভয় দেখাতে নয়। বহুগুণ শক্তিশালী আধুনিক প্রযুক্তির পরমাণু বোমা আমেরিকা বানাল তার অভ্যন্তরীণ প্রতিরক্ষার নীতিমাফিকই। অনেকটা রুটিন ডিউটির মতো। স্রেফ নিজের যুদ্ধাস্ত্রের প্রথাসম্মত আধুনিকীকরণ। কেমন আধুনিক? দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ১৯৪৫ সালে জাপানের হিরোশিমা-নাগাসাকিতে যে মাত্রার পরমাণু বোমা ফেলেছিল আমেরিকা, নতুন এই বোমা তার চেয়ে ২৪ গুণ শক্তিশালী!
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্স সম্প্রতি এই বোমা তৈরির কথা জানিয়েছে। ১৯৬০ সালে ঠান্ডা যুদ্ধের সময় বি৬১ গ্রাভিটি বম্বটি তৈরি করেছিল আমেরিকা। নতুন পরমাণু বোমাটি পুরনো ওই বোমারই নতুন সংস্করণ বলে দাবি। নতুন এই বোমার শক্তি কেমন, তা বোঝাতে গিয়ে এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমেরিকার তৈরি করা নতুন এই পরমাণু বোমা যদি মস্কোর উপরে ফেলা হয়, তাহলে তিন লক্ষ রাশিয়াবাসী এক লপ্তে মরবেন! কলকাতায় এই বোমা পড়লে তার ভয়াবহতা আরও ভয়ংকর হবে!
হবে নাই-বা কেন? হিরোশিমায় যে পরমাণু বোমা ফেলা হয়েছিল তার শক্তি ছিল ১৫ কিলোটন টিএনটি-র সমান। বি৬১-১৩ পরমাণু বোমাটি ৩৬০ কিলোটন টিএনটি বিস্ফোরণের সমান ক্ষমতাসম্পন্ন। নতুন এই বোমা যেখানে ফেলা হবে তার আধ মাইল ব্যাসার্ধ জুড়ে তৈরি হবে আগুনের গোলা। যেখানে এ বোমা পড়বে তার মাইলদুয়েকের মধ্যে সমস্ত জায়গার বাসিন্দাদের মৃত্যু হবে। এর ছাড়া উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয় বিকিরণ তো থাকবেই। সেটা বহু প্রাণ কেড়ে নেবে। আর এসব এড়িয়ে যাঁরা বাঁচবেন, তাঁদের মধ্যেও অন্তত ১৫ শতাংশ পরবর্তী কালে ক্যানসারে বা জটিল কোনও রোগে আক্রান্ত হয়ে মরবেন। সব মিলিয়ে একটি বোমা সাড়ে আট লক্ষেরও বেশি মানুষের ক্ষতি করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে!
আরও পড়ুন: Israel-Palestine Conflict: গাজায় এবার পরমাণু হামলাও চালাবে ইজরায়েল? কী বলছে বাকি বিশ্ব?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে অবশ্য পরিষ্কার করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাদের বানানো নতুন পরমাণু বোমা বি৬১-১৩ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে। তাদের সেনার হাতে অতিরিক্ত বিকল্প তৈরি করাও তাদের লক্ষ্য। বোমাটি আধুনিক যুদ্ধবিমানের মাধ্যমে প্রয়োগ করা যাবে।