নিজস্ব প্রতিবেদন:  ফেব্রুয়ারি শেষেই ভারতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট! এখনও দিনক্ষণ ঠিক না হলেও প্রাথমিক পর্যায়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে দুই পক্ষের কূটনৈতিক স্তরে। চলতি সপ্তাহে সেনেটে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইম্পিচমেন্ট শুনানি হওয়ার কথা। এদিকে ইরানের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে যথেষ্ট চাপে। ঘরে ও বাইরে ‘কোণঠাসা’ মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভারত সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ‘টু প্লাস টু’ বৈঠক করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সূত্রের খবর, তখনই ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। এছাড়াও নববর্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, মোদীই যে কোনও সময় ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। দেখা যাক কবে যাওয়া যায়। সূত্রের খবর, ইম্পিচমেন্টের দিনক্ষণ নির্ধারণ হওয়ার পরই ভারতে আসার পরিকল্পনা করবেন তিনি।


আরও পড়ুন- ‘কাতিলের’ হাত শক্ত নয়, শাহিনবাগ থেকে মণির ‘বিতর্কিত’ বার্তা


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারত এখন ‘সোনার হাঁস’। অর্থনীতির হাল ফেরাতে ট্রাম্পের প্রয়োজন ভারতের মতো বিপুল বাজার। চিন-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুল্ক যুদ্ধে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে মার্কিন অর্থনীতিতে। বিনিয়োগ টানতে মরিয়া মোদী সরকারও। তাই ট্রাম্পের এই সফর দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও পোক্ত করবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।  এছাড়া  ব্যক্তিগত ভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছেও ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে মনে করা হচ্ছে। সামনেই মার্কিন নির্বাচন আছে। সে কথা মাথায় রেখেই আঁটঘাট বেঁধে ভারতে আসবেন তিনি। এর আগে ‘হাউডি মোদীতে’ অংশগ্রহণ করে ট্রাম্প প্রাথমিকভাবে নির্বাচনী প্রচার সেরে রেখেছেন। প্রবাসী ভারতীয়দের ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসাতে ট্রাম্পের পরবর্তী পদক্ষেপ ভারত সফর। বলছে ওয়াকিবহাল মহল।