জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বহির্ভারতে বহুদিন থেকেই নানা দেশে নানা ক্ষেত্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের জয়জয়কার চলছে। সেই তালিকায় শেষতম সংযোজন নীরা ট্যান্ডেন। ইন্দো-আমেরিকান নীরা ট্যান্ডেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডোমেস্টিক পলিসি অ্যাডভাইজার পদে উপবিষ্ট হলেন। তাঁকে আমেরিকার অভ্যন্তরীণ নীতি নির্ধারণের বিষয়ে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করলেন স্বয়ং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর অর্থ, এবার থেকে আমেরিকার অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন বিষয়ে সরকারকে জরুরি পরামর্শ দেবেন এবং নীতি নির্ধারণও করবেন নীরা। এর আগে বাইডেনের ডোমেস্টিক পলিসি উপদেষ্টা ছিলেন সুসান রাইস। তাঁকে সরিয়েই এই পদে বসলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নীরা।

 


 

গতকাল, শুক্রবারই নীরার নাম ঘোষণ করেন বাইডেন। এ ব্যাপারে তিনি বলেন-- ডোমেস্টিক পলিসি অ্যাডভাইসর হিসাবে নীনা ট্যান্ডেনের নাম ঘোষণা করে আমি খুশি। ডোমেস্টির পলিসি নির্ধারণ ও তার রূপায়ণের ক্ষেত্রে কাজ করবেন তিনি। স্বাস্থ্য, অভিবাসন, শিক্ষার মতো ক্ষেত্রে নীতি তৈরিতে সাহায্য করবেন নীরা। 

 

প্রসঙ্গত, নীরা যে হঠাৎ করেই এতটা গুরুত্বপূর্ণ পদে উঠে এলেন তা নয়। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ক্লিনটন জমানায় গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন তিনি। সেন্টার ফর আমেরিকান প্রোগ্রেস অ্যান্ড সেন্টার ফর আমেরিকান প্রোগ্রেস অ্যাকশনের সিএইও এবং প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। স্বাস্থ্য বিষয়েও নীতি নির্ধারণের ব্যাপারে বিপুল অভিজ্ঞতা রয়েছে নীরার।

 


 

নীরা ট্যান্ডনই প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত যিনি আমেরিকার ডোমেস্টিক পলিস উপদেষ্টা হলেন। এই বিষয়টি নিজের বক্তব্যে উল্লেখও করেছেন বাইডেন। তিনি বলেছেন-- ট্যান্ডেন হলেন প্রথম এশীয়-আমেরিকান যিনি হোয়াইট হাউসের প্রধান তিনটি পলিসি কাউন্সিলকে নেতৃত্ব দেবেন! 

 

কিন্তু কেন প্রথা ভেঙে নীরার এই নিয়োগ?

জননীতি নির্ধারণে ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে নীরার। তাঁর এই অভিজ্ঞতাকেই কাজে লাগাতে চায় বাইডেন প্রশাসন। বলা হয়েছে-- বাইডেনের সিনিয়র উপদেষ্টা এবং স্টাফ সেক্রেটারি হিসেবে অভ্যন্তরীণ, অর্থনৈতিক এবং জাতীয় নিরাপত্তা দলের নীতি নির্ধারণ প্রক্রিয়া দেখভাল করবেন নীরা ট্যান্ডেন। জননীতি প্রণয়নে দীর্ঘ ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। অতীতে তিন জন প্রেসিডেন্টের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজও করেছেন। দেশের সবথেকে বড় থিংক ট্যাংককে তিনি প্রায় এক দশক নেতৃত্ব দিয়েছেন!