নিজস্ব প্রতিবেদন: চিনা গোয়েন্দার গ্রেফতারের নির্দেশ আসার পরই পরমাণু নিরাপত্তায় কড়া পদক্ষেপ করল ট্রাম্প প্রশাসন। হোয়াইট হাউস স্পষ্ট করেছে, চিনের কাছে পরমাণু সংক্রান্ত প্রযুক্তি রফতানিতে রাশ টানবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কারণ, হোয়াইট হাউস সন্দেহ করছে, পরমাণু সংক্রান্ত প্রযুক্তির অপব্যবহার করছে বেজিং। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, অত্যাধুনিক সাবমেরিন, যুদ্ধবিমান এবং ভাসমান পরমাণু কেন্দ্র ব্যবহার করা হচ্ছে আমেরিকা থেকে রফতানি করা পরমাণু-প্রযুক্তি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- মহাকাশ স্টেশনের পথে মাঝরাস্তায় বন্ধ হয়ে গেল রকেট, বরাত জোরে প্রাণে বাঁচলেন মহাকাশচারীরা


মার্কিন সংস্থা জেনারেল ইলেক্ট্রিক (জিই) অ্যাভিয়েশন থেকে গোপন তথ্য চুরি করার অভিযোগে এক চিনা গোয়েন্দাকে গ্রেফতারে নির্দেশ দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ। এই নির্দেশ আসার পরই মার্কিন শক্তি সম্পদ সচিব রিক পেরি জানিয়েছেন, মার্কিন-চিন অসমারিক পরমাণু চুক্তির বাইরে যদি পরমাণু সম্পদ সামরিক খাতে ব্যবহার করা হয়, তা অত্যন্ত উদ্বেগের। দেশের নিরাপত্তা কথা ভেবেই এগোনো উচিত বলে স্পষ্ট করেন রিক পেরি।


হোয়াইট হাউস তরফে জানানো হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অত্যাধুনিক পরমাণু প্রযুক্তিকে চিন সামরিক খাতে কাজে লাগাচ্ছে। পরমাণু শক্তি চালিত যুদ্ধবিমান, সাবমেরিনে প্রয়োগ করা হচ্ছে সে সব প্রযুক্তি। এমনকি দক্ষিণ চিন সাগরে ভাসমান পরমাণু কেন্দ্রেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিই ব্যবহার করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, চিন আগ্রাসন নীতি ফলিয়ে দক্ষিণ-চিন সাগরে কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করেছে বেজিং। সেখানেই তৈরি করা হয়েছে পরমাণু কেন্দ্র। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৭ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যে পরমাণু প্রযুক্তি আমদানি করে বেজিং।


আরও পড়ুন- ঘূর্ণিঝড় মাইকেলের দাপটে লন্ডভন্ড মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা


চিনের উপর হোয়াইট হাউসের কড়া পদক্ষেপ সাময়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও দেশের নিরাপত্তায় সুদূরপ্রসারী ফল মিলবে আশাবাদী ট্রাম্প প্রশাসন। প্রসঙ্গত, চিনের উপর একাধিক আমদানি শুল্ক চাপিয়ে বাণিজ্য যুদ্ধও জারি রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।