নিজস্ব প্রতিবেদন: বিকেল ৪টে নাগাদ শেষ হয়েছে বাংলাদেশের ভোটগ্রহণ পর্ব। যে ৬টি জায়গায় প্রথমবার ইভিএমে ভোট নেওয়া হয়েছে, সেখানে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে গণনাও। জানা যাচ্ছে দু’ঘণ্টার মধ্যেই ফলাফল জানা যাবে ঢাকা-৬, ঢাকা-১৩, চট্টগ্রাম- ৯, রংপুর-৩, খুলনা-২ ও সাতক্ষীরা-১ কেন্দ্রে। বাকি কেন্দ্রের ফল বেরতে মধ্য রাত পর্যন্ত গড়াবে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


দিনভর বাংলাদেশের ২৯৯ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলাকালীন বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত হিংসার খবর রয়েছে। এখন পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ রাজশাহীর তানোর কেন্দ্রে বিএনপি-জামায়াত সমর্থকদের হামলার অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে আওয়ামী লিগের এক নেতার। বগুড়ার কাহালু কেন্দ্রে এক যুবলিগ নেতাকে কুপিয়ে খুন করার খবর এসেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কক্সবাজারে যুবলিগের দুই নেতা খুন হন। অন্যদিকে রাজশাহীর মোহনপুরে ৩০ বছর বয়সি মিরাজুল ইসলামকে কুপিয়ে খুন করা হয় বুথের সামনেই। মিরাজুল আওয়ামী লিগের সমর্থক বলে জানা যাচ্ছে। বিএনপি এবং আওয়ামী লিগের সমর্থকদের সংঘর্ষে চট্টগ্রামের পটিয়ায় নিহত হয়েছেন বিএনপি-র এক সমর্থক।


আরও পড়ুন- বাঁদরের শ্লীলতাহানি! তিন বছর হাজতবাসের শাস্তি তরুণীর



বেশ কিছু বুথে প্রার্থী এজেন্টদের বের করে দেওয়া এবং ভোট চুরির অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা। রাজধানীর বিভিন্ন কেন্দ্রের বিএনপির এজেন্টদের দেখা যায়নি। অনেক জায়গায় ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে ভোট বয়কট করেন জামায়াতে ইসলামি-সহ ২৭ জন প্রার্থী। রাজধানীর ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিয়ে আওয়ামী লিগের সুপ্রিমো তথা বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নৌকার জয় নিশ্চিত। স্বাধীনতা এবং উন্নয়নের পক্ষে রায় দেবে জনগণ। বিভিন্ন জায়গায় হিংসার প্রশ্নে হাসিনার মন্তব্য, কোনও হিংসাই সমর্থন যোগ্য নয়। মানুষ যাকে পছন্দ করবেন তাকেই ভোট দেবেন। দেশের উন্নয়ন যেন অব্যাহত থাকে।



এ দিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম দাবি করেন, মানুষ যদি ভোট দিতে পারেন তাহলে বিপ্লব ঘটে যাবে। জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের জয় অনিবার্য। জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা কামাল হোসেন বলেন, “বিভিন্ন জায়গায় হিংসার খবর মিলছে। উদ্বেগজনক ঘটনা।” কামাল হোসেন আরও দাবি করেন, ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না অনেককেই। আওয়ামি লিগের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে কামালের দাবি, মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।


আরও পড়ুন- বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চলছে ভোটগ্রহণ, বিক্ষিপ্ত হিংসায় যুবলিগের নেতা-সহ বলি ২   


এ বারের নির্বাচনে ৩৯টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেছে। তবে, শেখ হাসিনার আওয়ামী লিগ এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিএনপি লড়াইয়ের ময়দানে মুখ্য হয়ে উঠেছে। আওয়ামী লিগের সঙ্গে ১৪টি রাজনৈতিক দল মিলে মহাজোট তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপি-র সঙ্গে রয়েছে ২০টি রাজনৈতিক দল। তাদের অন্যতম শরিক জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টকে সামনে রেখেই লড়াই চালাচ্ছেন খালেদা জিয়া। দানতহবিল দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের সাজা খাটছেন তিনি। লড়াইয়ের ময়দানে সরাসরি খালেদা জিয়া না থাকায় কুর্সি দখলে হাসিনা এক ধাপ এগিয়ে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।