জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর সোশ্যাল মিডিয়া উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। তীব্র প্রতিবাদে সরব হয়েছিল নেটপাড়া। বিক্ষোভের আঁচে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা ইরান-সহ ইরানের রাজধানীও। বিক্ষোভাকারীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য পুলিস কাঁদানে গ্যাসের সেল ছোঁড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে বিক্ষোভকারীরা তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে মহিলাদের স্বাধীনতা ও জীবনযাপন নিয়ে স্লোগান তুলছেন। প্রতিবাদের অঙ্গ হিসেবে অনেকেই তাঁদের হিজাব খুলে ফেলেছিলেন। এমনকি, অনেক ইরানি মহিলা তাঁদের চুলও কেটে ফেলেছেন, আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন হিজাবে। এবং এই সব ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে মাহসার মৃত্যুর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাঁরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Iran: মাহসা আমিনির পুলিসি হেফাজতে মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ ইরানে, সমালোচনার ঝড়...


ইরানের সাংবাদিক এবং অ্যাক্টিভিস্ট মাসিহ আলিনেজাদ তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে কড়া ভাষায় মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদ করে লেখেন-- 'সাত বছর বয়স থেকে যদি আমরা আমাদের চুল না ঢাকি তবে আমরা স্কুলে পড়তে যেতে পারব না, বা কাজও পাব না। এই লিঙ্গবৈষম্য আমাদের মজ্জায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে।' তিনি বিষয়টি নিয়ে একাধিক ট্যুইট করেন।  


ইরানে শরিয়া আইন বলবৎ রয়েছে। ৭ বছর বা তার বেশি বয়সি মেয়েদের ক্ষেত্রে মাথার চুল ঢাকার জন্য হিজাব পরা বাধ্যতামূলক এখানে। সম্প্রতি সে দেশের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম রইসির জারি করা নির্দেশিকা অনুযায়ী মহিলারা কীভাবে পোশাক পরতে পারেন সে বিষয়ে কিছু নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল। এই আইন যাঁরা ভঙ্গ করছেন, তাঁদের ভর্ৎসনা, জরিমানা এমনকি গ্রেফতারির মুখেও পড়তে হচ্ছে সে দেশে।


আমিনির মৃত্যু ইরানের ঘরে-বাইরে বিপুল বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সেখানকার এই নীতিপুলিসগিরির বিরুদ্ধে তীব্র বিষোদ্গার করা হয়েছে সর্বস্তরে। এটাকে বলা হচ্ছে 'গাস্ত-ই এরশাদ'। এখানে 'গাস্ত-ই এরশাদ' বলতে মেয়েদের চুল এবং ঘাড় ঢেকে রাখার নেতিবাচক নিয়মের দিকেই আঙুল তোলা হচ্ছে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)