নিজস্ব প্রতিবেদন : "মধ্যস্থতা করতে তৈরি আছি," ভারত-চিনের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ রেখায় উত্তাপ ঠান্ডা করতে প্রস্তাব দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অবশ্য তার আর প্রয়োজন হবে না, জানিয়ে দিল নয়া দিল্লি। শান্তিপূর্ণ সমাধান সূত্র বের করতে ইতিমধ্যেই বেজিংয়ের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানিয়ে দিল ভারত সরকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এ দিন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানান, "সমগ্র কূটনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লি আর বেজিংয়ে আমাদের কথাবার্তা চলছে।" অর্থাত্ এই মুহূর্তে যে ওয়াশিংটনের এ বিষয়ে না এগোলেও চলবে, সে কথাই স্পষ্ট করে দিল বিদেশ মন্ত্রক।


লাদাখ সীমান্তে দুই দেশেই সেনার মধ্যে চড়ছে পারদ। এ যেন হুমকি, পাল্টা হুমকির বাতাবরণ। এমন পর্যায়ে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রক দ্রুত আলোচনায় না গেলে শান্তি বিঘ্নিত হওয়া যে সময়ের অপেক্ষা, তা মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।


তবে, শান্তি যাতে বজায় থাকে, সে বিষয়ে যা যা করণীয়, তা করা হবে বলে এদিন জানিয়ে দেন শ্রীবাস্তব। দুই দেশের মধ্যেই দুটি ভিন্ন স্তরে এ বিষয়ে পর্যালোচনা চলছে বলে জানিয়ে দেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র। তিনি বলেন, "ভারত এবং চিন এই পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিরক্ষা ও কূটনৈতিক দুটি স্তরেই কথাবার্তা চালাচ্ছে।" শান্তি বজায় রাখতে দুই দেশের তরফেই বেশ কিছু প্রোটকল মানা বিষয়ে এর আগে সই-সাবুদ হয়েছে বলেও মনে করিয়ে দেন তিনি। গোটা বিষয়টা নিয়ে শান্তি বজায় রাখায় আগ্রহী দুই দেশই, জানান শ্রীবাস্তব।


ভারতের তরফে সীমান্তে মোতায়েন সেনাবাহিনীকেও সেই অনুযায়ী নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। "সমস্ত প্রোটোকলই নিয়মমাফিক মেনে চলা হবে। তবে দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতা ধরে রাখার বিষয়ে কোনও অবহেলা করা হবে না," স্পষ্ট বক্তব্য বিদেশ মন্ত্রকের।


আরও পড়ুন- করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে বিজেপির সম্বিত পাত্র


প্রসঙ্গত, বুধবার লাদাখের বাড়তে থাকা যুদ্ধের আবহের দিকে নজর রেখে ভারত-চিনের মধ্যে কৌসুঁলি হওয়ার প্রস্তাব দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। টুইটে লেখেন, "ভারত ও চিন, দুই দেশকেই জানানো হয়েছে যে সীমান্তে সমস্যা নিয়ে মধ্যস্থতা বা উপায় বের করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তৈরি আছে।" তবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের কূটনৈতিক সম্পর্ক মনে করে অনেকেই এর মধ্যে অন্য গন্ধও পাচ্ছেন, তা বলা বাহুল্য।