নিজস্ব প্রতিবেদন : ওয়াশিংটন বনাম তেহরান!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পসের কাদ্‌স ফোর্সের কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেমানি ও ইরাকি জঙ্গি সংগঠন পিপলস মোবিলাইজেশন ফোর্সের উপ-প্রধান ছিলেন  আবু মেহদি আল মুহান্দিস মার্কিন হামলায় নিহত। এই হামলার পরই আমেরিকাকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। সোলেমানিদের হত্যার বড়সড় মূল্য চোকাতে হবে ওয়াশিংটনকে। হুমকি দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানি। তবে সেই হুমকিতে আমল না দিয়ে আরও একটি বিমান হানায় ছজন ইরানপন্থী যোদ্ধাকে নিকেষ করেছে মার্কিন বাহিনি। তাও আবার সোলেমানির শেষ যাত্রার আগেই। এর এই দুই হামলার জেরে এখন দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের আবহ।


বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে ড্রোন হামলায় চালিয়ে সোলেমানিদের হত্যা করেছিল আমেরিকা। সেই হামলায় সোলোমানির মৃত্যু প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আক্রমণাত্মক অবস্থান নিলেন।  সোলেমানির মৃত্যু প্রসঙ্গে এক বিবৃতিতে ট্রাম্প দাবি করেছেন, তাঁরা বিশ্বের এক নম্বর সন্ত্রাসবাদীকে শেষ করেছেন! ট্রাম্প আরও  যোগ করেন, তাঁর নিৰ্দেশেই  মার্কিন সেনা বিশ্বের এক নম্বর সন্ত্রাসবাদীকে শেষ করেছে । দিল্লি ও লন্ডনের হামলার ছক কষেছিল সোলেমানি, দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প বলেছেন, মার্কিন সেনা ও কূটনীতিদের বিরুদ্ধেও একটি বড়োসড়ো হামলার ছক কষছিলেন সোলেমানি। সেই জন্যই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে ট্রাম্প একটি সংবাদমাধ্যম চ্যানেলকে জানিয়েছেন। 


আরও পড়ুন-  ইরানের হুমকি পাত্তা দিল না আমেরিকা! ফের বিমান-হানা, যুদ্ধ বাধার আশঙ্কা


পেন্টাগন-এর তরফে জানানো হয়, এই হামলায় সোলেমানি ছাড়াও প্রাণ হারান কাতীব  হেজবুল্লা  এবং ইরানের মিলিটিয়া গ্রূপের প্রাক্তন  নেতা আবু আল মুহান্দিস। পশ্চিম এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী ব্যক্তি হিসাবে জনপ্রিয় ছিলেন সোলেমানি। ইরান দাবি করেছিল, আইসিস-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন সোলেমানি। আমেরিকা অবশ্য সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে। 


একশোর বেশি মার্কিন সেনা ও কর্মীর মৃত্যুর জন্য সোলেমানিকে দায়ী করেছে আমেরিকা। সম্প্রতি জঙ্গি হামলায় মার্কিন সেনা ও কর্মীদের মৃত্যু এবং বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে হামলার সূত্র ধরে সোলেমানির হদিশ পায় আমেরিকা। ট্রাম্পের মতে, নিরীহ মানুষদের হত্যালীলায় মেতে ওঠা একপ্রকার নেশায় পরিণত হয়েছিল সোলেমানির। সোলেমানির মৃত্যুতে সেই সমস্ত মানুষদের সম্মান  জানানো হল যাঁরা তাঁর নৃশংসতার শিকার হয়েছেন। এমনই জানিয়েছে আমেরিকা।