ওয়েব ডেস্ক: সিরিয়া-আফগানিস্তানে পরপর হামলা। রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ঠেকেছে তলানিতে। উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে চিনকেও রীতিমতো হুমকি দিচ্ছেন তিনি। ডোনাল্ড ট্রাম্প যে ভাবে যুদ্ধ-যুদ্ধ আওয়াজ তুলতে শুরু করে
দিয়েছেন, তাতে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে আশঙ্কা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ভ্লাদিমির পুতিনের সুসম্পর্ক কি এ বার দুই সুপার পাওয়ারকে কাছাকাছি নিয়ে আসবে? ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে পা রাখার পর প্রশ্নটা উঠতে শুরু করলেও আপাতত তাতে ইতি।



ইদলিবে গ্যাস হামলায় প্রায় ৯০ জনের মৃত্যু। কাঠগড়ায় বাসার-অল-আসাদ। পাল্টা আমেরিকার টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে সিরিয়ার শায়রাত বিমানঘাঁটি ধূলিসাত। আসাদের ডেরায় আঘাত হেনে তাঁর বন্ধু পুতিনকে চটিয়েছেন ট্রাম্প। গ্যাস হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে আসাদের দাবি, তাঁর হাতে আর রাসায়নিক অস্ত্র নেই।  ইদিলিবে শিশুদের মৃত্যুর যে ছবি সামনে এসেছে তা সাজানো। সিরিয়ায় মার্কিন হানার কারণ খুঁজে বের করার জন্যই গ্যাস হামলার মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে।  



আসাদ প্রশাসন গ্যাস হামলা চালায়নি বলে দাবি বন্ধু পুতিনের। ট্রাম্প-পুতিন দুজনের কথাতেই পরিষ্কার, সিরিয়া তাঁদের সম্পর্কে দাঁড়ি টেনে দিয়েছে। পুতিন বলছেন, সামরিক ক্ষেত্রে দু-দেশের পারস্পরিক বিশ্বাস কমে গিয়েছে। ট্রাম্পও বলছেন, রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে পৌছেছে। এই পরিস্থিতিতেই আবার আফগানিস্তানে মার্কিন অস্ত্রাগারের সবচেয়ে বড় নন-নিউক্লিয়ার বোমার হামলা। যা পুতিনকে বার্তা দিতেই ট্রাম্পের আগ্রাসী মনোভাবের পরিচয় হিসাবে দেখছে কূটনৈতিক মহল।



আন্তর্জাতিক মহলের তোয়াক্কা না করে পরমাণু পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। বেজিংয়ের মদতেই পিয়ংইয়ংয়ের এই আস্পর্ধা বলে মনে করছে ট্রাম্প প্রশাসন। হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা সরাসরি চিনকে
সতর্ক করে বলে দিয়েছেন, উত্তর কোরিয়াকে বাগে আনতে বেজিং সাহায্য না করলে আমেরিকা একাই বিষয়টি বুঝে নেবে।



ক্ষমতায় আসার আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল, ইরাক-আফগানিস্তানে ওবামা যে ভুল করেছেন তা তিনি করবেন না। কিন্তু, এখন তিনি যেরকম আগ্রাসী মনোভাব দেখাতে শুরু করেছেন, তাতে ট্রাম্প সমর্থকদের একাংশেরই মোহভঙ্গ হতে শুরু করেছে।



সিরিয়া-আফগানিস্তানে পরপর হামলায় কি নতুন করে যুদ্ধের দামামা বাজানোর ইঙ্গিত দিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প? বেজিং-মস্কোর সঙ্গে টক্কর বাড়িয়েই কি তিনি মেক আমেরিকা গ্রেট এগেন স্লোগান সফল করতে চাইছেন? সারা বিশ্বের কূটনৈতিক মহলেই এখন এই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে। তবে, যুদ্ধ-যুদ্ধ গন্ধের মধ্যেই একটা কাজ করে ফেলেছেন ট্রাম্প। আসাদকে সবক শেখানোর চেষ্টা করে ব্রিটেন-ফ্রান্সকে পাশে পেয়ে গেছেন তিনি। যে দুই দেশ কখনই হোয়াইট হাউসে তাঁর পা রাখা নিয়ে উত্‍সাহী ছিল না। ফলে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিদেশনীতি আগামীদিনে কোন দিকে গড়ায় তা নিয়ে আশঙ্কা-কৌতুহল দুই-ই বাড়ছে। (আরও পড়ুন- আসাদের পাশে দাঁড়িয়ে আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি রাশিয়া-ইরানের)