Rishi Sunaks: এতদিন ধরে `ভারতীয় বংশোদ্ভূত` হিসেবে পরিচিত ঋষি সুনাকের পাকিস্তান-যোগও আছে নাকি?
Rishi Sunaks: ইতিমধ্যেই প্রথম অ-শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তি হিসবে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হয়ে ইতিহাস রচনা করেছেন ঋষি সুনাক। তাঁকে নিয়ে ভারতীয়দের গর্বের শেষ নেই। এদিকে ঋষিই পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন এটা স্পষ্ট হওয়ার পর থেকেই উল্লসিত পাকিস্তানিরাও! কেন?
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিসেবে পরিচিত ঋষি সুনাককে নিয়ে প্রথম থেকেই ভারতীয়দের মধ্যে একটা আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে আবার শোনা যাচ্ছে, পাকিস্তানও নাকি ঋষি সুনাককে নিয়ে আনন্দে ভাসতে আরম্ভ করেছে। কেননা, তাঁর পাক-যোগও খুঁজে পাওয়া গিয়েছে! ব্যাপারটা কী? ইতিমধ্যেই প্রথম অ-শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তি হিসবে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হয়ে ইতিহাস রচনা করেছেন ঋষি সুনাক। তাঁকে নিয়ে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয়দের গর্বের শেষ নেই। ঋষিই পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন এটা স্পষ্ট হওয়ার সময় থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পাকিস্তানি নেটিজেনরাও এই ব্রিটিশ নেতাকে নিয়ে গর্ব করতে শুরু করেছে। কিন্তু সুনাকের সঙ্গে পাকিস্তানের যোগ কোথায়?
আরও পড়ুন: ঋষির মন্ত্রিসভায় ফিরলেন পদত্যাগী সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান
তা হলে একটু ঋষির বংশলতিকা নিয়ে চর্চা করা যাক। ঋষির জন্ম ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটনে হিন্দু-পঞ্জাবি পরিবারে। তবে তাঁর ঠাকুর্দা-ঠাকুমা জন্মেছিলেন অবিভক্ত ভারতের পঞ্জাব প্রদেশের গুজরানওয়ালা শহরে। যে শহর এখন পাকিস্তানে। ১৯৩৫ সালে দাঙ্গার হাত থেকে বাঁচতে ঋষির ঠাকুর্দা রামদাস সুনাক কেনিয়ার নাইরোবিতে পাড়ি দিয়েছিলেন। সেখানেই কাজ নিয়েছিলেন। তাঁর স্ত্রী সুহাগরানিও প্রথমে দিল্লিতে এসেছিলেন, পরে ১৯৩৭ সাল নাগাদ পাড়ি দিয়েছিলেন কেনিয়ায়। রামদাস ও সুহাগরানির ছয় সন্তান – তিন ছেলে, তিন মেয়ে। ঋষি সুনকের বাবা যশবীর সুনাকের জন্ম হয়েছিল ১৯৪৯ সালে। ইংল্যান্ডের লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিসিন নিয়ে পড়াশোনা করার জন্য ১৯৬৬ সালে তিনি লিভারপুলে এসেছিলেন। ১৯৭৭ সালে যশবীরের সঙ্গে (ঋষির মা) উষার সঙ্গে বিয়ে হল। এর তিন বছর পরে, ১৯৮০ সালে সাউদাম্পটনে জন্মগ্রহণ করলেন ঋষি।
ঋষির ঠাকুর্দা রামদাস সুনাক ১৯৩৫ সালে গুজরানওয়ালা ছেড়েছিলেন, জানার পর থেকেই পাকিস্তানি নেটিজেনরা ঋষি সুনাককে 'তাদের লোক’ বলে দাবি করতে শুরু করেছে। কেউ বলেছেন, পাকিস্তানেরও ঋষি সুনাকের উপর দাবি জানানো উচিত, কারণ তাঁর ঠাকুর্দা গুজরানওয়ালার বাসিন্দা ছিলেন। কেউ বলেছেন-- একজন পাকিস্তানি ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ পদে আরোহণ করলেন!
তবে, কেউ কেউ অবশ্য এমনও বলেছেন, ঋযি সুনাকের এই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদে বসাটা ভারত ও পাকিস্তান দু'দেশের জন্যই গর্বের মুহূর্ত। টুইটারে একজন লিখেছেন-- গুজরানওয়ালার একজন পঞ্জাবি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হবেন! এই মুহুর্তে পাকিস্তান এবং ভারত দুই দেশেরই যৌথভাবে গর্বিত হওয়া উচিত!