নিজস্ব প্রতিবেদন: চলতি বছরে তিন বার আর্থিক অচলাবস্থার মুখে পড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘স্বপ্নের প্রকল্প’ মেক্সিকো দেওয়াল তৈরির জন্য ৫০০ কোটি ডলারের প্রয়োজন। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে শুক্রবার ‘স্পেন্ডিং বিল’ পাস করাতে গিয়ে আটকে গেল ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের বাক-বিতণ্ডায়। ঘড়িতে বারোটা বাজতেই রাজকোষে তালা পড়ে যায়। অর্থাত্ শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত থমকে গেল সরকারি কাজকর্ম। কয়েক লক্ষ কর্মচারীর ‘ভাগ্য’ অনিশ্চিত হয়ে পড়ল অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাসের মরণ ঝাঁপ ৪০০ মিটার গভীর খাদে, নিহত ২৩


মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদিও আশ্বাস দিয়েছেন, এই অচলাবস্থা বেশি দূর এগোবে না। তবে, ট্রাম্পের এই আশ্বাসেও স্পষ্ট নয় কবে থেকে ফের স্বাভাবিক হবে প্রশাসনিক কাজকর্ম। বড়দিনের মরসুমে এমন আর্থিক অচলাবস্থায় ক্ষুদ্ধ সরকারি কর্মচারীরা। প্রায় ৮ লক্ষ কর্মচারীকে ছুটিতে পাঠানো হবে অথবা বিনা বেতনে কাজ করতে হবে তাঁদের। ২০১৯ সালে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অর্থ বরাদ্দ থাকায় সামরিক, স্বাস্থ্য এবং জন পরিষেবা সংক্রান্ত দফতরের কাজকর্ম চালু থাকবে।


আরও পড়ুন- ভুয়ো খবর পরিবেশনের জেরে চাকরি গেল পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিকের


জানা যাচ্ছে, নাসার সিংহভাগ কর্মীদের ছুটিতে পাঠানো হচ্ছে। এছাড়া, নিরাপত্তা, কৃষি, বাণিজ্য এমনকি বিচার বিভাগের কাজও থমকে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। জাতীয় পার্ক খোলা থাকলে, অধিকাংশ কর্মীরা ছুটিতে থাকবেন। ইতিমধ্যে ইস্তফা দিয়েছেন প্রতিরক্ষা সচিব জিম ম্যাটিস। যার জেরে বড়সড় ধাক্কা খেতে হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। মনে করা হচ্ছে, এক দশকে সবচেয়ে শোচনীয় সপ্তাহ ওয়াশিংটনের কাছে। তবে, এই পরিস্থিতির দায় নিতে অস্বীকার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি অভিযোগ করেন, ডেমোক্র্যাটদের বিরোধিতার জন্য শাটডাউন শুরু হয়ে যায়। চলতি বছরে জানুয়ারিতে অভিবাসন নীতি বিতর্কে ভোটাভুটিতে হেরে গিয়ে ‘স্পেন্ডিং বিল’ পাশ করাতে পারেনি রিপাবলিক্যানরা। যার জেরে সে সময় রাজকোষে তালা পড়ে যায়। ফেব্রুয়ারিতেও দ্বিতীয় বারের জন্য ‘আর্থিক অচলাবস্থার’ মুখে পড়েন ডোনাল্ড ট্রাম্প।