ওয়েব ডেস্ক:  ভারত ও মায়ানমার-সহ গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় জেহাদ রফতানি করতে চায় আই এস। একাজে ঘাঁটি হিসাবে সবচেয়ে সুবিধাজনক বাংলাদেশ। এই ভাবনা থেকেই সেদেশে সক্রিয় আইসিস রিক্রুটমেন্ট সেল। দাবি বাংলাদেশে আইএস-এর মুখপত্র দাবিক পত্রিকার। সন্ত্রাসকে ছড়িয়ে দিতে স্থানীয় স্তরের রিক্রুটরাই এবার কেন্দ্রীয় ছক নকল করে চালাচ্ছে সন্ত্রাস হানা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 


সিঁদুরে মেঘ অনেক দিন ধরেই দেখা দিচ্ছিল। একের পর এক ব্লগার হত্যার পরই দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিচ্ছিল ইসলামিক স্টেট। বাংলাদেশ সরকার সেইসব দাবি মানতে না চাইলেও বারবারই নিজেদের উপস্থিতির ঘোষণা করেছে আইএসের মুখপত্র দাবিক। তবে সবচাইতে বিস্ফোরক দাবিকের দ্বাদশ সংখ্যা।


 


বাংলাদেশ যে আইসিসের রেডারে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে এই ম্যাগাজিনটি থেকেই। সেখানে THE REVIVAL OF JIHAD IN BENGAL শিরোনামে একটি সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়েছে। সঙ্গে শেখ আবু ইব্রাহিম আল হানিফ ওরফে তামিম চৌধুরী নামে বাংলাদেশের আইসিস প্রধানের দীর্ঘ সাক্ষাত্কার। কানাডার প্রবাসী বাঙালি তামিম চৌধুরী বাংলাদেশে থেকে আইসিসের সাংগঠনিক দায়িত্ব সামলাচ্ছেন বলে ওই ম্যাগাজিনে দাবি করা হয়েছে।


 


ইরাক এবং সিরিয়ায লড়াই চালিয়ে যাওয়া ইসলামিক স্টেট কেন রণাঙ্গন হিসেবে বেছে নিয়েছে বাংলাদেশকে? সেই প্রশ্নেরও বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন আইসিসের বাঙালি আমীর।


 


তাঁর মতে, ভারতের পশ্চিম দিকে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। তাই জিহাদকে বিশ্বায়িত করতেই ভৌগোলিক কারণে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ। দাবিকের প্রতিবেদনে স্পষ্ট,  ভারত ও মায়ানমার সহ দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় আক্রমণ চালাতে আইসিস বাংলাদেশকেই ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছে।


ISIS-এর মূল 'মতাদর্শ' কী, শুধুই কী জঙ্গিপনা না অন্যকিছু?


 


একসময় আলকায়দার যোগসূত্রে পুষ্ট আনসারউল বাংলা, বা সদ্য গজিযে ওঠা জেএমবির মতো সংগঠন এক্ষেত্রে বাংলাদেশে আইসিসের রিক্রুটমেন্ট সেল হিসেবে কাজ করেছে। যার ফলে স্থানীয় জঙ্গিদের হাত ধরেই বড়সর হামলা চালাতে সক্ষম হচ্ছে ইসলামিকস্টেট৷ ঢাকার কূটনৈতিক কেন্দ্রে রেঁস্তোরায় হামলা সেই গ্র্যান্ড ডিজাইনেরই অঙ্গ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।