Allergic To Gravity: ২৩ ঘণ্টাই শুয়ে থাকেন যুবতী, চান মাধ্যাকর্ষণের আওতার বাইরে চলে যেতে!
মিনিট তিনেকের বেশি তিনি দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন না। বেশি সময় দাঁড়ালেই তিনি সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন। এটা কি কোনও রোগ? হ্যাঁ, রোগ, পৃথিবীর সব চেয়ে দুর্বোধ্য রোগগুলির একটি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নাম তাঁর লিন্ডসি জনসন। তিনি এক বিবাহিত মার্কিন মহিলা। শোনা যাচ্ছে, দিনের বেশিরভাগ সময়ই তিনি বিছানাতেই কাটান। না, তিনি রোগশ্যায় শায়িত নন। তাহলে কেন তিনি শয্যাশায়ী? তিনি মাধ্যাকর্ষণের জন্য অসুস্থ। ধাঁধার মতো লাগছে? না, কোনও ধাঁধা নেই। লিন্ডসি জনসনের দাবি মিনিট তিনেকের বেশি তিনি দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন না। বেশি সময় দাঁড়ালেই তিনি সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন। এটা কি কোনও রোগ? হ্যাঁ, রোগ, পৃথিবীতে সব চেয়ে দুর্বোধ্য রোগগুলির একটি এটি। লিন্ডসি নিজে কী বলছেন এটা নিয়ে? তিনি বলছেন, আমার মাধ্যাকর্ষণে অ্যালার্জি আছে। অবিশ্বাস্য শোনাচ্ছে, কিন্তু এটা সত্যি। ৩ মিনিটের বেশি সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকলেই আমি অজ্ঞান হয়ে যাই, অসুস্থ বোধ করি। একমাত্র শুয়ে থাকলেই আমি ভাল থাকি। তাই, দিনে ২৩ ঘন্টা আমি শুয়েই থাকি। আমি কখনও ভাবিনি যে, মাত্র ২৮ বছর বয়সে আমাকে শাওয়ার চেয়ার ব্যবহার করতে হবে!
বছর ২৮-এর লিন্ডসি জনসনের ঠিক কী অবস্থা? লিন্ডসির চিকিৎসা চলছে, অনেকটা সুস্থও হয়ে উঠেছেন তিনি, তবে পুরোপুরি নয়, পুরোপুরি হয়ে উঠবেনও না কোনওদিন। লিন্ডসি জানিয়েছেন, আগে যেখানে দিনে ১০ বার অজ্ঞান হয়ে যেতেন, এখন সেখানে অজ্ঞান হওয়ার মাত্রা কমে দিনে ৩ বারে এসে দাঁড়িয়েছে। তবে এখনও স্বাভাবিক মানুষের মতো দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে অসুবিধা হয় তাঁর। সব কাজেই তাঁকে তাঁর স্বামী জেমস জনসনের সাহায্য নিতে হয়। এজন্য স্বামীর প্রতি তিনি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ বলে জানিয়েছেন লিন্ডসি।
আরও পড়ুন: Strongest Global Storm Of 2022 : ঘণ্টায় ৩০০ কিলোমিটার গতি! ধেয়ে আসছে এক অতি ভয়ংকর টাইফুন
একবার এক কার্ডিওলজিস্ট বলেছিলেন লিন্ডসি পটস
(PoTS) রোগে আক্রান্ত। এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে তাঁকে 'টিল্ট' টেস্ট করাতে হয়েছিল। এই পরীক্ষায় একজন রোগীর হার্ট রেট, ব্লাড প্রেশার, ব্লাড অক্সিজেন-- ইত্যাদির অবস্থা দেখা হয়। তবে সেই পরীক্ষা থেকেই বেরিয়ে আসে যে, লিন্ডসি এক বিরল রোগে আক্রান্ত।
মাধ্যাকর্ষণে অ্যালার্জি! অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে, কিন্তু ঠিক এই দাবিটাই করেছেন লিন্ডসি জনসন। লিন্ডসির দাবি, তাঁর মাধ্যাকর্ষণে অ্যালার্জি রয়েছে এবং এই কারণে তিনি দিনে অন্তত দশবার অজ্ঞান হয়ে পড়েন। দিনের ২৩ ঘন্টাই প্রায় তাঁকে বিছানায় শুয়ে কাটাতে হয়। মাঝে মাঝে বিছানাতেই বসে থাকেন। শুধুমাত্র স্নান-খাওয়ার মতো প্রয়োজনীয় কাজের জন্য উঠে দাঁড়ান। চিকিৎসকদের মতে, এটা এক অত্যন্ত বিরল স্বাস্থ্য-সমস্যা।