নিজস্ব প্রতিবেদন: কর্মচারীদের  কাজের চাপ এতটাই যে তারা  বিশ্রাম নিতে পারেন না কাজের ফাঁকে! এমনকি, বাথরুম পর্যন্ত যেতে পারেন না! সেজন্য বোতলে প্রস্রাব করতে হয়! এমনই বেশ কিছু টুইট ও কর্মচারীদের অভিযোগে কাঠগোড়ায় তোলা হল অ্যামাজন সংস্থাকে। তবে তা মানতে নারাজ সংস্থা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বোতলে প্রস্রাব করছে কেউ, সত্যিই আপনারা বিষয়টি বিশ্বাস করেন? ঘটনার বিরুদ্ধে পাল্টা প্রশ্ন করেছে অ্যামাজন। পাশাপাশি বিভিন্ন সংবাদের প্রতিবেদনকে তুলে ধরেছে সংস্থা। যেখানে উল্লেখ আছে, এক অ্যামাজনের কর্মচারী যিনি অ্যামাজনের গাড়ির চালক তিনি জানিয়েছেন,  উৎপাদনের হার এতটাই বেশি যে তাদের গাড়ির মধ্যে বোতলে প্রস্রাব করতে হয়। 


 



ঘটনায় Rep. Mark Pocan নামের একজন টুইটার ইউজার মন্তব্য করেছেন, কর্মচারীদের যদি ১৫ ঘণ্টা কাজ করতে হয় এবং বোতলে প্রস্রাব করতে হয়, তার অর্থ  খোলামেলা উন্নতশীল কাজের জায়গা নয়। এই মন্তব্যের কিছুক্ষণ পড়েই টুইট করে অ্যামাজনের রিটেইল এক্সিকিউটিভ বলেন, এটি সত্যি নয়। আমরা কাজের পরিবেশকে খোলামেলা রাখার চেষ্টা করি। 


প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে, অ্যামাজনের কর্মচারী জানিয়েছেন,   "আমি ডেলিভারি সার্ভিসর ক্ষেত্রে চালকদের জন্য মানবিক নয় সংস্থা। কোনও বাথরুম বা রেস্টরুম ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়ার জন্য অ্যামাজনের পক্ষ থেকে কোন প্রকার প্রচেষ্টা দেখিনি। পাছে দিনের ডেলিভারি কমে যায়, সেজন্য ভয়ে আমরা বোতলে প্রস্রাব করি।"


 



তবে এই অভিযোগ অ্যামাজনের বিরুদ্ধে প্রথমবার নয়, ২০১৮ সালে সাংবাদিক James Bloodworth-র লেখা এক প্রতিবেদনে উল্লেখ ছিল Amazon warehouse workers-দের কাজের চাপ সম্পর্কে। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছিলেন, একজন ডেলিভারি ড্রাইভারের কথায়, "শারীরিকভাবে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। পাশাপাশি সময়ের মধ্যে পৌঁছে দিতে বিপজ্জনকভাবে উচ্চ গতিতে গাড়ি চালাতে হয়। সিগনালে গাড়ি দাঁড়ালে বোতলে প্রস্রাব করতে হয়।"



 



এই গোটা ঘটনায় অ্যামাজন তার প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, এই অভিযোগ যদি সত্যি হয়। তাহলে কেউই অ্যামাজনের সঙ্গে কাজ করত না। গোটা বিশ্ব জুড়ে লক্ষ লক্ষ কর্মচারী কাজ করছে অ্যামাজনের সঙ্গে। তাদের কাজে আমরা খুশি। শুরুর দিন থেকে কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে আমরা সচেতন।