World Peace Day 2022: সব ধরনের বিদ্বেষের দিন শেষ করে এবার শান্তির ললিত বাণীতে কান পাতুক বিশ্ব
World Peace Day 2022: এই দিনে রাষ্ট্রসংঘের হেড কোয়ার্টারে শান্তির ঘণ্টা বাজানো হয়। রাষ্ট্রসংঘকে ঘণ্টাটি উপহার দিয়েছিল জাপান। সেই পঞ্চাশের দশকে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অস্থির ও হিংসায় উন্মত্ত এ বিশ্বে শান্তির জন্য একটি দিন ধার্য করা খুবই জরুরি। সেই জরুরি কাজটিই করেছে রাষ্ট্রসংঘ। ২১ সেপ্টেম্বর বিশ্ব শান্তি দিবস নির্ধারণ করেছে তারা। অর্থাৎ, আগামীকাল বুধবারই সেই বিশেষ দিন। যুদ্ধবিধ্বস্ত এই পৃথিবী ও যুদ্ধের ইঙ্গিতকম্পিত এই বিশ্বরাজনীতির সাপেক্ষে শান্তির জন্য একটি দিন অতি তাৎপর্যপূর্ণ। এই দিনে রাষ্ট্রসংঘের হেড কোয়ার্টারে শান্তির ঘণ্টা বাজানো হয়। রাষ্ট্রসংঘকে ঘণ্টাটি উপহার দিয়েছিল জাপান। সেই সুদূর পঞ্চাশের দশকে। অহিংসার বাণী ও যুদ্ধবিরতিই এই দিনটির লক্ষ্য। এই মুহূর্তে বিশ্বে একটি ব্যাপক আকারের যুদ্ধ চলছেই। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে অস্থির হয়ে আছে বিশ্ব-রাজনীতি। রাশিয়াই হামলাটা চালিয়েছে। ফলে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করাটা তাদের দিক থেকেই হওয়া বাঞ্ছণীয়। কিন্তু তেমন কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না রাশিয়ার তরফে। ভরাযুদ্ধের আবহে বিশ্ব শান্তির দিন পড়াটাও একটা তাৎপর্যপূর্ণ সমাপতন।
আরও পড়ুন: Jupiter Close to Earth: পৃথিবীর কাছে আসছে সৌরজগতের সব চেয়ে বড় গ্রহ! ভয়ংকর কিছু ঘটবে?
প্রত্যেক বছরই এই দিনটির একটি থিম বা মূল ভাবনা থাকে। এবারের থিম-- 'এন্ড রেসিজিম, বিল্ড পিস'। খুবই তাৎপর্যপূর্ণ একটি ভাবনা। এই আধুনিক সময়েও আজও পৃথিবীর আনাচ-কানাচে রয়ে গিয়েছে জাতিবিদ্বেষ বর্ণবিদ্বেষের অন্ধকার। সেই অন্ধকার দূর করা খুবই জরুরি। এই বিদ্বেষ এবং সেই বিদ্বেষ-জাত সংঘাত অনেক ক্ষেত্রে মুখোমুখি যুদ্ধের চেয়েও খারাপ। তাই, এই বিদ্বেষকে আগে নির্মূল করতে হবে। মন থেকে, চিন্তা থেকে, যাপন থেকে এই বিদ্বেষকে নির্মূল করতে হবে। তবেই সেই পথ ধরে শান্তি আসবে। রচিত হবে শান্তির পথ।
দিনটির কথা মনে রেখে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস একটি ট্যুইট করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন-- অতীতের যে কোনও সময়ের চেয়ে এই মুহূর্তে বিশ্বমৈত্রী আমাদের সব চেয়ে জরুরি। জরুরি দায়বদ্ধতা ও পারস্পরিক বিশ্বাসও।
১৯৮১ সালে রাষ্ট্রসংঘ প্রথম এই বিশ্বশান্তি দিবস পালন করে। তবে তখন তারিখ নির্ধারিত হয়নি। ২০০১ সাল নাগাদ ২১ সেপ্টেম্বর তারিখটিকে বিশ্ব শান্তি দিবস হিসেবে ধার্য করা হয়। এমন একটি দিবস উদযাপনের মধ্যে দিয়ে তাদের লক্ষ্য ছিল, বিশ্বে এমন একটা আবহ তৈরি করা যেখানে সব দেশ বা সম্প্রদায় তাদের বর্ণভেদের কথা ভুলে গিয়েই পরস্পরের সঙ্গে সহজ সুরে মিলতে পারে। সমস্ত বৈষম্যকে মুছে দেওয়ার প্রতিজ্ঞা নেওয়ার দিন হয়ে উঠুক এটি। বিশ্বসংস্কৃতির মিশ্রণ ও ভিন্ন ভিন্ন বিশ্বসংস্কৃতি যাতে পারস্পরিক সম্মানের সম্বন্ধে যুক্ত থাকতে পারে সেটা দেখাও দিনটির উদ্দেশ্য।