ডালমে `কালা` কিছুই নেই, সবটাই স্বাস্থ্যকর
বিশ্ব ডাল দিবস নিয়ে টুইট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পাতায় পাতায় নয়, স্বাস্থ্য়ের খাতিরে সকলকেই চলতে হবে ডালে-ডালে!
বুধবার, এই ১০ ফেব্রুয়ারি দিনটি বিশ্ব ডালশস্য দিবস হিসেবে স্বীকৃত ও পালিত হয়। খুব বেশিদিনের কথা অবশ্য নয়। ২০১৮ সালে ইউনাইটেড নেশনস (UN General Assembly)সিদ্ধান্ত নেয়, বছরে অন্তত একটি দিন ডালের জন্য বরাদ্দ হোক! তার পর থেকে এই ক'বছর ধরে ১০ ফেব্রুয়ারি দিনটি World Pulses Day হিসাবে উদযাপিত হয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: চাষির হাতে বেগুনি-হলুদ ফুলকপি জন্মাল ভারতে, দাম উঠল ১৬ লাখ টাকা
তবে ডাল শুধু পুষ্টির সঙ্গেই যুক্ত তা নয়, ডালের মধ্যে দিয়ে রাজনীতির বার্তাও কখনও কখনও মেলে। যেমন দেশ জুড়ে চলা কৃষক বিক্ষোভের মধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী Mamata Banerjee এই ডালদিবসের প্রসঙ্গে একটি টুইট করেন। সেখানে তিনি লেখেন-- আজ বিশ্ব ডালদিবস। আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১১-১২ এবং ২০১৫-১৬ সালে ডাল উৎপাদনের জন্য 'কৃষি কর্মণ' পুরস্কার অর্জন করেছিল। আজকের দিনটিতে সমস্ত কৃষকদের সঙ্গে একাত্মতা অনুভব করছি।
এ থেকে কী বুঝলেন? ডালবন্দনা ও কৃষকবন্দনার সূত্রে কেন্দ্র সরকারের প্রতি নিরুচ্চার একটা বার্তাও কি দেওয়া হল না?
রাজনীতি থেকে যদি জীবনযাপনে আসি, তবে বলা চলে, ভারতে বহু কাল ধরেই ডাল খাওয়ার রেওয়াজ। বিশেষত, বাঙালিদের ক্ষেত্রে ডালভাত তো একরকম জাতীয় খাদ্যের পর্যায়ে পড়ে। তবে ডাল নিয়ে সব দেশই তো আর ভারতের মতো সচেতন নয়। তাই বিশ্বকে ডাল-মাহাত্ম্য জানানোর জন্য রাষ্ট্রসঙ্ঘের এই ভাবনা। এবং এই দিনটিতে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক ভাবে ডাল খাওয়ার রেওয়াজও তৈরি হয়ে উঠছে। যা প্রাচ্য, বিশেষ করে ভারত-বাংলাদেশ প্রভৃতি কয়েকটি দেশ ব্যতীত অন্য দেশের সারা বছরের একঘেয়ে রান্নায় অন্তত একদিনের জন্য় হলেও একটু বৈচিত্র্য নিয়ে আসে।
প্রতি বছর দিনটি নানা রকম থিমেরও জন্ম দেয়। এ বছরের World Pulses Day-র theme-- #LovePulses। যদিও এ বারের এই থিমের মাধ্যমে করোনা-পরিস্থিতিতে বিশ্ব জুড়ে যে পুষ্টির খামতি সেদিকেও নজর দেওয়া হয়েছে। আদতে করোনার সঙ্গে লড়তে গেলে চাই ইমিউনিটি পাওয়ার। আমাদের শরীরে সেই রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা জুগিয়ে দেয় যেসব খাদ্য ডাল তাদের মধ্যে অন্যতম।
তা হলে আসুন, রাজনীতি-পুষ্টি-সমাজ-রোগ-ব্যাধি ইত্যাদি সব এক পাশে ঠেলে রেখে আমরা বরং আজ গরম গরম ডাল খাই কয়েকবাটি।