Domique Lapierre: স্মৃতিমেদুর `সিটি অফ জয়`, প্রয়াত ডমিনিক লাপিয়ের
লাপিয়ের তার ‘সিটি অফ জয়’ থেকে পাওয়া রয়াল্টির টাকা ভারতে মানবিক প্রকল্পগুলির জন্য দান করেন। ১৯৬৫ সালে প্রকাশিত নন-ফিকশন বইটি ১৯৪৪ সালের অগস্ট মাস পর্যন্ত ঘটনাগুলি বর্ণনা করে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সোমবার প্রয়াত হয়েছেন ডমিনিক লাপিয়ের। ফরাসি লেখক এবং ভারত অনুরাগি লাপিয়ের এর উপন্যাস ‘দা সিটি অফ জয়’ কয়েক মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছিল। সোমবার তার মৃত্যুর খবর ঘোষণা করেছেন তাঁর স্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, ‘৯১ বছর বয়সে, বার্ধক্যজনিত কারণে তাঁর মৃত্যু হয়’। ১৯৩১ সালের ৩০জুলাই, চ্যাটেলাইলোনে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ল্যাপিয়ের এবং আমেরিকান লেখক ল্যারি কলিন্সের লেখা ছয়টি বইয়ের প্রায় ৫০ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত ‘ইজ প্যারিস বার্নিং?’
১৯৬৫ সালে প্রকাশিত নন-ফিকশন বইটি ১৯৪৪ সালের অগস্ট মাস পর্যন্ত ঘটনাগুলি বর্ণনা করে। সেই সময় নাৎসি জার্মানি ফরাসি রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ সমর্পণ করে। ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা এবং গোর ভিদাল রূপালী পর্দায় ফুটিয়ে তোলেন।
তার ১৯৮৫ সালের উপন্যাস ‘সিটি অফ জয়’ কলকাতার একজন রিকশাচালকের কষ্টের কথা বর্ননা করে। এই বইটিও সাফল্য পায়। এটির উপর ভিত্তি করে একটি চলচ্চিত্র মুক্তি পায় ১৯৯২ সালে। এখানে অভিনয় করেন প্যাট্রিক সোয়েজ এবং পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন রোল্যান্ড জোফ।
লাপিয়ের তার ‘সিটি অফ জয়’ থেকে পাওয়া রয়াল্টির টাকা ভারতে মানবিক প্রকল্পগুলির জন্য দান করেন।
আরও পড়ুন: হিজাব ছাড়াই প্রতিযোগিতায় ইরানের এলনাজ রেকাবি, গুঁড়িয়ে দেওয়া হল বাড়ি
২০০৫ সালে, তিনি ধন্যবাদ দেন সিনেমা এবং পাঠকদের যাদের অনুদান এই পদক্ষেপের অংশ হিসাবে ‘২৪ বছরে কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত ৯,০০০ শিশুর যত্ন নেওয়া এবং এক মিলিয়ন যক্ষ্মা রোগীর রোগ নিরাময় করা সম্ভব হয়েছে’।
‘ইজ প্যারিস বার্নিং?’-এর পরে, তিনি কলিন্সের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যান।
এই জুটি লিখেছেন ‘অর আই উইল ড্রেস ইউ ইন মৌরনিং" (১৯৬৮), ‘ও জেরুজালেম’ (১৯৭২), ‘ফ্রিডম অ্যাট মিডনাইট’ (১৯৭৫), ‘দ্য ফিফথ হর্সম্যান’ (১৯৮০), এবং থ্রিলার ‘ইজ নিউ ইয়র্ক বার্নিং?’
দীর্ঘকাল ধরে, ল্যাপিয়ের সেন্ট-ট্রোপেজে কলিন্সের কাছাকাছি বাস করতেন।
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)