নিজস্ব প্রতিবেদন: শি জিনপিংয়ের পর চিনের প্রেসিডেন্ট কে? তাঁর উত্তরসূরী হিসেবে সুন জেংকাইয়ের নাম ভাবা হচ্ছিল। তবে দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হওয়ার পর তিনি আর দৌড়ে নেই। তবে শি জিনপিং কি দু'দফার পরেও দায়িত্বে থেকে যাবেন? মাও সে তুং-এর দেশের ভবিষ্যত শাসক সম্পর্কে এমন জল্পনাই ঘোরাফেরা করছিল দুনিয়া জুড়ে। আর তখনই সামনে এল 'শিকে ছেঁড়া' চেন মিয়ারের নাম।
  
চংকিং মেট্রোপলিসের পার্টি সম্পাদক ছিলেন সুন জেংকাই। মনে করা হচ্ছিল, তিনিই জিনপিং-এর সম্ভাব্য উত্তরসূরী। কিন্তু গত জুলাইয়ে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়। পদ খোয়ান জেংকাই। প্রেসিডেন্ট পদের দৌড় থেকে ছিটকে যান এই লাল নেতা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমগুলি ধারনা করেছিল, জেংকাইকে 'তাড়িয়ে দিয়ে' ২০২২ সালের পরও ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছেন শি জিনপিং। দু'দফার পরও সম্ভবত থেকে যাবেন তিনি। চলতি সপ্তাহে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির ১৯তম জাতীয় কংগ্রেসেও সেরকমই আভাস মেলে। তবে বামপন্থী দলে বাইরে থেকে সবকিছু আঁচ করা মুশকিল। শোনা যাচ্ছে, সন্তর্পণে নিজের উত্তরসূরী বাছাইয়ের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন শি জিনপিং। আর সেই বাছাই পর্বেই উঠে এসেছে চেন মিয়ারের নাম। ২০২২ সালের আগে তাঁকে 'মাজাঘষা' করে তৈরিও করা হচ্ছে। 


কে এই চেন মিয়ার?


১৯৬০ সালে জন্ম চেন মিয়ারের। জন্মের সালটি এক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, চিনে ৬৮ বছরে অবসর নেওয়ার রাজনৈতিক ঐতিহ্য রয়েছে। সেই ঐতিহ্য মেনে ২০২২ সালে দায়িত্ব পেলে তাঁকে ২০২৭ সালে অবসর নিতে হবে। অর্থাত্ এক দফা শাসনের সুযোগ পাবেন চেন মেয়ার। সেখানে চিনের অন্যান্য 'প্রতিশ্রুতিবান নেতা'দের বেছে নেওয়া হলে তাঁরা দু'দফা শাসন ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। এই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে দলের মধ্যে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি দ্বিতীয়বারের জন্য চিনা প্রেসিডেন্ট হিসাবে দেশকে নতুন দিশা দেখানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেছেন জিনপিং।


তবে, কড়া অনুশাসন মেনে চলা কমিউনিস্ট দলে সাংবাদিক সম্মেলন করে নেতা নির্বাচনের খবর দেওয়া হয় না। ফলে, গোটা বিষয়টিতে কোনও সরকারি বিবৃতি না থাকলেও দলের অন্দরের খবরই নির্ভরযোগ্য বলে দাবি করছে বিভিন্ন মহল। আপাতত চেন মিয়ারকে চংকিং মেট্রোপলিসের দায়িত্ব দিয়ে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হওয়ার ইঙ্গিত দিতে চেয়েছেন শি জিনপিং এমনটাই জল্পনা।  


আরও পড়ুন, পাকিস্তানে জঙ্গি দমনে ড্রোন হামলার তীব্রতা বাড়াল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র