বিশ্বাস করুন, ওরাও বেঁচে আছে, ভেসে আছে
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রবারের ভেলায় সাগরপাড়ি। এ স্রোত থামছে না। ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে রোজ ইতালিতে নামছে শরণার্থীদের ঢল। সোমবারই সিসিলি পৌছলেন ভিটেমাটি হারানো পাঁচশো মানুষ।
ওয়েব ডেস্ক: জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রবারের ভেলায় সাগরপাড়ি। এ স্রোত থামছে না। ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে রোজ ইতালিতে নামছে শরণার্থীদের ঢল। সোমবারই সিসিলি পৌছলেন ভিটেমাটি হারানো পাঁচশো মানুষ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এত বড় শরণার্থী সঙ্কট আর দেখেনি ইউরোপ। তুরস্ক থেকে গ্রিস হয়ে ইউরোপে ঢোকার রাস্তা বন্ধ। ভিটেছাড়া মানুষের দল এখন ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে পৌছতে চাইছে ইতালি।
আরও পড়ুন- নিজের মেয়েকে সমাজে স্ত্রী বলে পরিচয় দিয়ে দু বছর ধরে ধর্ষণ বাবার
সিসিলির উপকূলে রোজ এসে ভিড়ছে রবারের নৌকো। সোমবারই পৌছেছেন প্রায় পাঁচশো শরণার্থী। লিবিয়ার কাছে ভূমধ্যসাগরে তিনটি ভেলা থেকে তাঁদের উদ্ধার করেছে ইতালির উপকূল রক্ষী বাহিনী। মাল্টার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মাইগ্র্যান্ট অফসোর এড স্টেশনের এমভি ফিনিক্স জাহাজে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে সিসিলির অগস্তা বন্দরে।
এই শরণার্থীরা আদতে কোন দেশের স্থায়ী বাসিন্দা তার সবটা এখনও স্পষ্ট নয়।
আলান কুর্দির নিথর দেহ নাড়িয়ে দেয় ইউরোপকে। শরণার্থীদের জন্য দরজা বন্ধ করে রাখার বিরুদ্ধে দেশে দেশে তৈরি হয় জনমত। এই মুহূর্তে ভূমধ্যসাগরে যৌথভাবে শরণার্থীদের উদ্ধারের কাজ চালাচ্ছে স্পেন, ব্রিটেন, আয়ারল্যান্ড ও ইতালি। কাজ করছে চারটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। অগস্ট মাস পর্যন্ত পাওয়া হিসাবে ইতালিতে পা রেখেছেন এক লক্ষেরও বেশি শরণার্থী।