Your Doppelganger: ঠিক আপনার মতোই দেখতে আর একটি মানুষও আছেন এ বিশ্বে, কেন এটা ঘটে...
বিষয়টা সহসা আলোচ্য হয়ে উঠল একটা ঘটনার সূত্রে। চার্লি চাসেন, মাইকেল মালোন। এঁদের দেখা হয়েছিল ১৯৯৭ সালে। আটলান্টায়। মালোন সেখানে চাসেনের ব্যান্ডে গেস্ট সিংগার হিসেবে কাজ করতেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'ডপলগ্যাংগার'! শুনেছেন হয়তো কথাটা। ইংরেজিতে লেখা হয়-- doppelgänger; কী এর অর্থ? অভিধান বলছে, 'অ্যান অ্যাপারিশন অর ডাবল অফ আ লিভিং পার্সন'। অর্থাৎ কিনা, ঠিক আপনারই মতো দেখতে কেউ একজন, বা যাকে আমরা 'লুক-অ্যালাইকস' বলি, যাকে অনেক ক্ষেত্রে আমরা যমজ বলেও জানি। অনেকটা ওই ভ্রান্তিবিলাস গোছের। এ তো হল অভিধানের কথা। কিন্তু বিজ্ঞান বলছে অন্য কথা। সে বলছে, এ হল আসলে ডিএনএ-র খেলা। হয়তো যাঁরা একরকম দেখতে, স্রেফ 'লুক-অ্যালাইকস' অথবা যমজ, তাঁদের শরীরের কোষে কোষে ঘুরে-চলে বেড়াচ্ছে একই ধরনের ডিএনএ! অর্থাৎ, ভ্রান্তিবিলাসের পিছনে ঘাপটি মেরে রয়েছে ডিএনএ!
বিষয়টা সহসা আলোচ্য হয়ে উঠল একটা ঘটনার সূত্রে। চার্লি চাসেন, মাইকেল মালোন। এঁদের দেখা হয়েছিল ১৯৯৭ সালে। আটলান্টায়। মালোন সেখানে চাসেনের ব্যান্ডে গেস্ট সিংগার হিসেবে কাজ করতেন। তবে খুব দ্রুত পরস্পরের বন্ধু হয়ে ওঠেন এঁরা। কিন্তু তাঁরা একটা বিষয় খেয়াল করতেন না। সেটা হল, যখন তাঁরা পরস্পরের বন্ধুতার উষ্ণতায় মত্ত থাকতেন, তখন চারপাশের লোক তাঁদের দুজনকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখাতেই ব্যস্ত থাকতেন!
আরও পড়ুন: China: বিয়ে করা প্রায় সম্ভবই হচ্ছে না, জন্মহারও তলানিতে! সংকটে দিশেহারা প্রশাসন...
কেন?
আসলে ক্রমে জানা গেল, বা বোঝা গেল বলাই ভালো যে, চার্লি চাসেন, মাইকেল মালোন হলেন ওই 'ডপলগ্যাংগার'! লুক-অ্য়ালাইক এক্ষেত্রে। তাঁদের দুজনের মধ্যে আকৃতিগত দারুণ সাদৃশ্য যদিও তাঁরা পরস্পরের আত্মীয় নন। তাঁরা নিজেদের জ্ঞানবুদ্ধি মতো নিজের-নিজের অতীত বংশলতিকা পর্যালোচনা করে দেখেছেন, খুব সুদূরতম কোনও যোগ-সূত্রেও তাঁরা পরস্পরের আত্মীয় নন! চাসেনের পূর্বজরা যখন আসছেন লিথুয়ানিয়া বা স্কটল্যান্ড থেকে, ম্যালোনের পূর্বপুরুষেরা তখন আসছেন বাহামাস বা ডমিনিকান রিপাবলিক থেকে।
দুই বন্ধু একটি ফোটোগ্রাফি প্রজেক্টে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে তাঁরা উদ্যোক্তাদের বলে দিয়েছিলেন তাঁরা আত্মীয় নন, একরকম দেখতে। সেই ছবির প্রজেক্ট সোশ্যাল মিডিয়াতেও খুব বিখ্যাত হয়ে ওঠে। কিন্তু শুধু সাধারণ মানুষজন বা ছবি-প্রেমী লোকজনই নন, ওই প্রদর্শনীর প্রতি আকৃষ্ট হন বিজ্ঞানীও। ড. মানেল এস্টেলার বিশেষ করে চাসেন-মালেনের সৌসাদৃশ্যের বিজ্ঞানে মজে গেলেন। শুরু হল অনুসন্ধান।
তা থেকেই জেনেটিক রিলেশনশিপ নিয়ে নতুন করে গবেষণার শুরু। শারীরিক বৈপরীত্যের মধ্যেও যেমন একজাতীয় ডিএনএ -র গুণধর্ম থাকে, তেমনই এক দেখতে যাঁরা তাঁদের সৌসাদৃশ্যের গভীরেও জিনের এই সমধর্মিতা কাজ করে।