নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রকাশ্য সভায় দেশের হিন্দুদের সম্পর্কে অপমানজনক মন্তব্য করার ইসলাম প্রচারক জাকির নাইককে টানা ১০ ঘণ্টা জেরা করল মালয়েশিয়ার পুলিস। তাঁর ওই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেও জাকির নাইককে প্রকাশ্যে কোনও বক্তব্য রাখতে নিষেধ করল রয়্যাল মালয়েশিয়া পুলিস। দেশের নিরাপত্তা ও সম্প্রীতি স্বার্থেই ওই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-রাজীব গান্ধীর ৭৫তম জন্মদিনে টুইটে শ্রদ্ধা জানালেন মোদী


মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার বুকিত আমান-এ পুলিসের কার্যালয়ে তাঁর একটি ভিডিও বয়ান রেকর্ড করা হয়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর আইনজীবী আকবরউদ্দিন আবদুল কাদের। দেশের শান্তি নষ্ট করা অভিযোগ আনা হয়েছে জাকির নাইকের বিরুদ্ধে।




বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে সে দেশের সরকার। খোদ প্রধানমন্ত্রী ডা মাথাতির মহম্মদ বলেন, একটা বিষয় স্পষ্ট যে জাতি বিদ্বেষের তাস খেলতে চেয়েছিলেন জাকির। এনিয়ে দেশে যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে তার তদন্ত করবে পুলিস।


কী বলেছিলেন জাকির নাইক? গত ৩ অগাস্ট মালয়েশিয়ার কোটা বারুতে এক সভায় হিন্দুদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন জাকির নাইক। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘মালয়েশিয়ার হিন্দুরা ডা মাথাথির মহম্মদের থেকে নরেন্দ্র মোদীর প্রতি বেশি অনুগত।’ পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘মালয়েশিয়ার সংখ্যালঘু হিন্দুরা ভারতের সংখ্যালঘু মুলসিমদের থেকে অনেক নিরাপদে রয়েছে।’


আরও পড়ুন-প্রবল চাপে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, ব্যাঙ্ক জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার কমলনাথের ভাগ্নে রাতুল


জাকির নাইকের ওই মন্তব্যের পরই দেশজুড়ে তাঁর বিরুদ্ধে সরব হন একাধিক মন্ত্রী ও সংগঠন। তাঁকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়ারও দাবি ওঠে। এমনকি এও দাবি ওঠে জাকিরের নাগরিকত্বও কেড়ে নেওয়া হোক। তবে সেসব এখনও পর্যন্ত না করা হলেও তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত নেমেছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি।