নিজস্ব প্রতিবেদন:   জিম্বাবয়েতে কোনও সামরিক অভ্যুত্থান হয়নি। বুধবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাত্কারে জানিয়ে দিলেন সেদেশের এক সামরিক অধিকর্তা মেজর জেনারেল এসবি মেও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জিম্বাবয়ের জেনারেল পদমর্যাদার এই আধিকারিক স্পষ্ট জানান, সেদেশে কোনও সেনা অভ্যুত্থান হয়নি। কেবলমাত্র দেশের মুষ্টিমেয় কিছু সন্ত্রাসবাদী ও দুর্নীতিবাজদের প্রতিরোধে অভিযান চালানো হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘’ প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের চারপাশে যেসব দুর্নীতিবাজ রয়েছে তাদের নির্মূলে আমরা অভিযান চালাচ্ছি। আমি এদেশের প্রত্যেকটি মানুষকে ঠিক এই বিষয়টিই নিশ্চিত করতে চাই যে।‘’ ভাষণে তিনি এটাও নিশ্চিত করেন যে, প্রেসিডেন্ট মুগাবে ও তাঁর স্ত্রী সুরক্ষিত রয়েছে। দেশবাসীকে নিশ্চিন্তে থাকতে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।


টেলিভিশনের মাধ্যমে দেশবাসীকে ওই সামরিক অধিকর্তা আশ্বাস দেন, ‘’আমরা যত দ্রুত সম্ভব এই অভিযান শেষ করার চেষ্টা করছি। তাতে দেশবাসী সুরক্ষিত থাকবেন, দুর্নীতিবাজরা সমূলে ধ্বংস হবে।‘’


প্রসঙ্গত, জিম্বাবয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা দেশের ভাবী উত্তরসুরী ৭৫ বছর বয়সী নানগাগবার অপসারণ-ইস্যুতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সেদেশের পরিস্থিতি। সম্প্রতি, বারবার নিয়মভঙ্গের অভিযোগে নানগাগবরকে অপসারণের নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট মুগাবে। আগামী বছর সেদেশে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। এই অবস্থায় এই অপসারণের নির্দেশে  শোরগোল পড়ে যায় সেদেশের রাজনৈতিক মহলে। বিষয়টিতে রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনে সেনাপ্রধানকে সতর্ক করা হয় প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের পক্ষ থেকে।


মঙ্গলবার জিম্বাবয়ের রাজধানী হারারের রাস্তায় সেনাবাহিনীর চারটি ট্যাঙ্ক দেখা যায়। এরপরই দেশে সামরিক অভ্যুত্থান শুরু হয়েছে বলে জল্পনা শুরু হয় বিভিন্ন মহলে। কিন্তু এর ফলে যাতে মানুষের মধ্যে ভুল বার্তা না পৌঁছয়, রাতারাতি তাই বিষয়টি স্পষ্ট করেন সামরিক অধিকর্তা।