ব্যুরো: ১৯ নভেম্বর দুই লোকসভা এবং একটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। দিন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে তমলুক এবং মন্তেশ্বরে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছে তৃণমূল। বুধবার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে বামফ্রন্ট। ভবিষ্যতে জোটের দরজা খুলে রেখে কংগ্রেস সম্ভবত তিন আসনেই প্রার্থী দিচ্ছে না। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুজোর রেশ কাটতে না কাটতেই এসে গেল ভোট। তৃণমূল সাংসদ রেণুকা সিংহের মৃত্যুর কারণে ফাঁকা হয়েছিল কোচবিহার আসনটি। শুভেন্দু অধিকারী সাংসদ থেকে বিধায়ক হওয়ায় ফাঁকা হয় তমলুক আসনটি। আর সজল পাঁজার আকস্মিক মৃত্যুতে অকাল ভোট মন্তেশ্বরে। ২২ নভেম্বর উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা। 


তমলুকের এক চেটিয়া ক্ষমতা রইল অধিকারী পরিবারের হাতেই। প্রার্থী হচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারীর ভাই বিধায়ক দিব্যেন্দু অধিকারী। জিতলে আবার একটি উপনির্বাচন। মন্তেশ্বরে সজল পাঁজার ছেলে সৈকত পাঁজা প্রার্থী।  


কোচবিহারে রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সঙ্গে উদয়ন গুহের বিরোধের কারণে নাম চূড়ান্ত করতে বেশ কিছুটা দ্বিধায় দল। গোষ্ঠী কোন্দল ঠেকাতে কোনও অরাজনৈতিক ব্যক্তি বা সেলিব্রিটিকে প্রার্থী করা হবে কিনা, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে।  কংগ্রেস ও বামেরা যে জোট গড়ে লড়াই করবে না, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল বামফ্রন্ট। বুধবার প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবে তাঁরা। তবে বেশ কিছুটা কৌশলী পদক্ষেপ নিয়েছে কংগ্রেস। 


কংগ্রেসের ঘরের খবর, ভবিষ্যতে জোটের দরজা খুলে রেখে সম্ভবত তারা প্রার্থী দিচ্ছেন না। এর পিছনে আরও একটি রাজনৈতিক অঙ্কও কাজ করছে। ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের ৫ বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। যেতে পারেন আরও অনেকে। সে ক্ষেত্রে উপনির্বাচন হলে কংগ্রেস যাতে বামেদের সঙ্গে পরোক্ষ জোট করে লড়তে পারে, সুকৌশলে সেই দরজা খোলা থাকল। ২৬ অক্টোবর থেকে মনোনয়ন পেশ। শাসক দলের অশ্বমেধের ঘোড়াকে আদৌ লাগাম পরানো যায় কিনা, বিরোধী শিবিরের কাছে সেটাই এখন চ্যালেঞ্জ।