ওয়েব ডেস্ক: দক্ষিণে গিয়ে আর ফিরে আসেনি অগস্ত। অগস্ত মুনির সেই দক্ষিণ যাত্রা কাল পেরিয়ে এখনও ভয় দেখায়। কথায় আছে যমের দখিন দুয়ার। দখিন মুখো মন্দারমণিও। পুরানের কোনও প্রমাণ নেই, কিন্তু দখিনমুখো মন্দারমণিতে জলে নেমে তলিয়েছে সেই সংখ্যাটা অনেক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পরিসংখ্যান বলছে গত ৩ বছরে দিঘা, মন্দারমণি এবং তাজপুরে সমুদ্রে ডুবে ৪৯জনের মৃত্যু হয়েছে। শুধু মন্দারমণিতেই মৃত্যু হয়েছে ১৭জনের। মন্দারমণিতে গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৯জনের।


যতদূর চোখ যায় গাঢ় নীল। সেই গাঢ় ঘন নীলিমায় রয়েছে যেন বাঁকা ভ্রূর  উসকানি। আদতে চতুর্দশীর নবীনতা কাটিয়ে অমবস্যা মুখো চাঁদের মত সাগর শুয়ে রয়েছে মন্দারমণিতে। আর এখানেই বিপদ-এখানেই উন্মাদনা। সাগর এখানে বড় আগ্রাসী।সরাসরি উত্তাল ঢেউ আছড়ে পর দখিনা মন্দারমণিতে।  আর ভাটার সময় তো আবার অন্য বিপদ। বাঁকা ভ্রুর গহনে তখন চোরা টান। তলিয়ে যায় উদ্দাম জীবন।  সমুদ্র বিজ্ঞানী এবং মত্‍সজীবীদের মতে  --


জোয়ারের সময় সমুদ্র স্নান নিরাপদ। জোয়ারের সময় জল পারের দিকে ধেয়ে আসে।  মন্দারমণিতে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১.৩০ পর্যন্ত জোয়ার থাকে। সেটাই সমুদ্র স্নানের উপযুক্ত সময়। ভাটার সময় জলের টান বিপরীতমুখী থাকে। জল ঘুরপাক খেয়ে নিচে নামতে থাকে। তাই ভাটার সময় সমুদ্রে তলিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি।


মন্দারমণিতে সমুদ্র স্নানে নেমে তলিয়ে গেছেন যাঁরা তাঁদের অধিকাংশই সমুদ্রে নেমেছিলেন বারবেলায়। দুপুর দুটো থেকে তিনটেতেই অধিকাংশ দুর্ঘটনা। অর্থাত্‍ সেই ভাটার সময়। মন্দারমণির সমুদ্র বোধহয় উদ্দাম জীবনকে সঙ্গে নিয়ে ভাটাতেও পেতে চায় জোয়ারের স্বাদ।