ওয়েব ডেস্ক: সাত জনই শিক্ষক। অথচ তাঁদেরই কিনা পুলিস গ্রেফতার করেছে ডাকাত সন্দেহে। রাতভর লকআপে রেখেও সন্দেহ কাটেনি। আদালতে পেশের পর ওই সাত-শিক্ষকের ঠিকানা এখন জেল হেফাজত। গণ্ডোগোলের সূত্রপাত বৃহস্পতিবার রাতে। চাকরির নিয়মমাফিক আপগ্রেডেশনের পরীক্ষা দিতে কলকাতায় এসেছিলেন ওই শিক্ষকরা। উঠছিলেন বেলঘরিয়ায়। প্রত্যেকেরই বাড়ি হিঙ্গলগঞ্জ ও আশপাশের এলাকায়। রাতে খাবার পায়চারি করতে বেড়িয়েই বিপত্তিটা হয়। তাঁদের বাংলাদেশি ডাকাত বলে ভেবে বসেন স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা। খবর পেয়ে হাজির হয় পুলিস। অগত্যা বাংলাদেশি ডাকাত সন্দেহেই গ্রেফতার করা হয় ওই শিক্ষকদের। শুক্রবার বারাকপুর আদালতে তোলা তাদের জেলহেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাংলাদেশি ডাকাত সন্দেহে কাদের গ্রেফতার করল পুলিস? সঙ্গে থাকা অন্য শিক্ষকদের কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছে ওই সাত জনের পরিচয়। ধৃত সাত জনের মধ্যে বিপদ ভঞ্জ মাধবকাঠি জুনিয়র হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। তিনি আবার পুকুরিয়া এলাকায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যও। ধৃত প্রলয় মণ্ডল পুকুরিয়া প্রাথমিক শিক্ষক। আরেক ধৃত প্রাথমিক শিক্ষক প্রণব ঘরামি প্রাক্তন সেনা কর্মী। ডাকাত সন্দেহে ধৃত হাটগাছা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তপন মণ্ডল সাহেবখালির তৃণমূলের বুথ কমিটির সভাপতি। তপন রায় মাধবকাঠি হাটখোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। ধৃত নূর হুসেন গাজি গোবিন্দকাঠি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।আরেক ধৃত তাপস মৃধা কানাইকাঠি হাটখোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।