ওয়েব ডেস্ক: জেলা পরিষদ হাতছাড়া। মুর্শিদাবাদকে আর অধীর গড় বলা যাবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেছে। জেলায় কংগ্রেসের মুখ বলতে এখন শুধুই অধীর চৌধুরী। এ বার তাঁর খাসতালুক বহরমপুরই তৃণমূলের টার্গেট।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ফাঁকা আওয়াজ নয়। হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন অধীর চৌধুরী। শুধু কথা নয়। রীতিমতো কাজেও করে দেখাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। মুর্শিদাবাদ জেলাকে আর অধীরের গড় বলা যাবে কিনা সে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তৃণমূলের তরুণ তুর্কি। জেলার নানা প্রান্ত থেকে বড়-মেজ-ছোট নেতারা রোজই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন।


আরও পড়ুন- মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদে ম্যাজিক ফিগার পেরিয়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেস


সূত্রের খবর, এ বার শুভেন্দু অধিকারীর টার্গেট বহরমপুর লোকসভা আসন। যে বহরমপুরে রবিনহুড নামে পরিচিত অধীররঞ্জন চৌধুরী। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে অপারেশন। বেলডাঙা, নওদা, বহরমপুর, রেজিনগর, কান্দি, ভরতপুর ও বড়ঞা বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে গঠিত অধীর চৌধুরীর বহরমপুর লোকসভা আসন।


এই সাত বিধানসভাতেই রোজ উর্বর হচ্ছে ঘাসফুলের জমি। বেলডাঙা পুরসভা কংগ্রেসের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। নওদায় কংগ্রেসের টিকিটে নির্বাচিত জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ এখন ঘাসফুল শিবিরে। ১৮ সেপ্টেম্বর মোহনের মাঠে শুভেন্দু অধিকারীর সভায় বহরমপুর পুরসভার ৪ কংগ্রেস কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন বলে খবর।


কংগ্রেসের টিকিটে নির্বাচিত রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। কান্দি পুরসভার একাধিক কংগ্রেস কাউন্সিলর আগেই শিবির বদল করে চলে গেছেন ঘাসফুলে। কংগ্রেস সদস্যরা ঘাসফুলে যোগ দেওয়ায় ভরতপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতিও ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। বড়ঞা থেকে কংগ্রেসের টিকিটে নির্বাচিত জেলা পরিষদের সদস্য-সহ স্থানীয় স্তরে একাধিক কংগ্রেস নেতা যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে।


বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে তিন বিধানসভা কান্দি, বড়ঞা, ভরতপুর এবং বহরমপুর বরাবরই অধীর চৌধুরীকে বড় লিড দেয়। কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, জেলার একাধিক কংগ্রেস বিধায়ক তৃণমূলের দিকে পা বাড়িয়ে আছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অধীর চৌধুরীর লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস বিধায়করাও। মুর্শিদাবাদ জেলায় পঞ্চায়েত সমিতি, গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস সদস্যরা


আরও পড়ুন- বাঁকুড়ার রায়পুরে খুন হলেন তৃণমূল নেতা অনিল মাহাত


প্রায় রোজই যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে। নির্বাচিত জন প্রতিনিধি ছাড়াও কংগ্রেসের স্থানীয় স্তরের নেতারাও চলে যাচ্ছেন ঘাসফুলে। তৃণমূল নেতারা বলেন, রাজ্যে কংগ্রেস সাইনবোর্ড। ব্যতিক্রম ছিল মুর্শিদাবাদ।
শুভেন্দু অধিকারীর হাত-যশে সেই মুর্শিদাবাদেও এখন অস্তমিত কংগ্রেস।