ওয়েব ডেস্ক: বোড়াল কাণ্ডে অভিযুক্ত শ্যামল বিশ্বাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। বাকিরা গা ঢাকা দিয়েছে। প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তাতেই দুষ্কৃতীদের বাড়বাড়ন্ত। অভিযোগ করছেন এলাকাবাসী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বোড়াল তখন জ্বলছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে সোনারপুর থানার পুলিস। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুলিসি মদতেই দুষ্কৃতীদের বাড়বাড়ন্ত। বাপ্পা মিস্ত্রি, শ্যামল বিশ্বাস, শঙ্কর দাস, বিকাশ হালদার ও সোমনাথ পাল। প্রতিবাদীকে গুলির ঘটনায় আঙুল উঠছে এই পাঁচজনের বিরুদ্ধেই। সকলেই কুখ্যাত দুষ্কৃতী।


বাপ্পা মিস্ত্রির বাড়ি নতুনহাটে। বাপ্পার বাবারও গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়। গণপিটুনিতে বাবার মৃত্যুর পরেই উঠে আসে বাপ্পা। শ্যামল বিশ্বাস সরলদিঘি এলাকারই ছেলে। পৈতৃক বাড়িও রয়েছে। যদিও সে নিজে থাকে ভাড়াবাড়িতে। বাপ্পা, শ্যামলের শাগরেদ শঙ্কর দাস। সরলদিঘিতেই প্রাসাদের মতো তিনতলা বাড়ি তার। প্রতি ঘরেই AC, ফ্রিজ, কালার টিভি।


আরও পড়ুন জনরোষে জ্বলল বোড়াল, মস্তান দমনে পথে নামলেন মানুষ


বিকাশ হালদার ও সোমনাথ পাল এউ দলের আরও দুই সদস্য। তাদের এলাকায় বাড়ি। এদের আয়ের উত্‍স্য প্রোমোটারি। সরলদিঘিতেই রয়েছে বাপ্পা ও শ্যামলের নির্মাণ সংস্থার অফিস BS কনস্ট্রাকশন। এলাকাবাসীর অভিযোগ: নির্মাণ সংস্থার অফিসের আড়ালে চলে যাবতীয় অসামাজিক কাজকর্ম। নিকটবর্তী ওয়ার্ডের এক কাউন্সিলরের মদতেই অবাধে চলে মস্তানরাজ।


দক্ষিণ কলকাতার এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাও বাপ্পা ও শ্যামলের ত্রাতা। বাঁশদ্রোণীর কুখ্যাত দুষ্কৃতী উত্তমের শাগরেদ বাপ্পা ও শ্যামল। শ্যামল দিঘির এক পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়মিত বসত মদের আসর। বিধানসভা ভোটের আগে ওই মদের ঠেকেই বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের পর কিছুদিন বন্ধ ছিল মদের ঠেক। শ্যামলও বাপ্পাকে গ্রেফতারও করা হয়। কিন্তু, ভোট মিটতেই ফিরে আসে তারা। পুলিস ঘুমিয়ে ছিল। তাই জাগতে বাধ্য হল মানুষ। বলছে বোড়ালবাসী।


আরও পড়ুন কেন অশান্ত হল বোড়াল? জেনে নিন