ওয়েব ডেস্ক:সকাল থেকেই কালো ধোঁয়ায় মুখ ঢাকে আকাশ। অল্প বয়স থেকেই শ্বাসকষ্ট ও চর্মরোগ বাধা বাঁধছে শরীরে। ঘুসুড়ি থেকে দাশনগর। হাওড়ার বেশিরভাগ শিল্পাঞ্চলের ছবিটা কমবেশি একইরকম। বারবার বলা সত্ত্বেও কারখানার চিমনি উঁচু করার কোনও উদ্যোগ নেয় না কারখানা কর্তৃপক্ষ। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ এমনটাই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাতাসে বিষ। ঘুসুড়ি সশিল্পাঞ্চল, দাশনগর শিল্পাঞ্চল। উত্তর হাওড়াতে দুটো গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল হল  সত্যবালা আইডি ও টিএল জয়সওয়াল হাসপাতাল। হাসপাতাল সংলগ্ন ও শিল্পাঞ্চলগুলিতে ভোগান্তি। স্বাস্থ্য দফতরের সমীক্ষা বলছে । বর্জ্য পদার্থ পুড়িয়ে প্লাসটিক পুড়িয়ে দানা তৈরি হচ্ছে। রিসাইক্লিং করার নিয়ম কিন্তু নিয়ম মেনে কেউ কাজ করেনা। এরফলে শহরের মানুষজন ভুগছেন। মারাত্মক আকার নিচ্ছে। হাওড়া পুরসভার তরফে বলা হচ্ছে মূলত দেখার কথা দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কিন্তু তারা সেভাবে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। পুরসভার মেয়র রথীন চক্রবর্তী জানিয়েছেন দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ উদ্যোগ নিচ্ছে না। তা সত্ত্বেও হাওড়া পুরসভার তরফে খবর পেলেই  বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া হচ্ছে।


 রাজ্যের শিল্প মানচিত্রে হাওড়া জেলার গুরুত্ব অপরিসীম। ঘুসুড়ি, দাশনগরসহ একাধিক শিল্পাঞ্চলের দৌলতে এই জেলায় কারখানার সংখ্যাও নেহাত কম নয়। কিন্তু স্বাস্থ্য দফতরের সমীক্ষা বলছে রাজ্যের সবথেকে দূষিত শহর বর্তমানে হাওড়া। দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য যে বিধি নিষেধ রয়েছে বেশিরভাগ কারখানা কর্তৃপক্ষই তা মানেন না বলে অভিযোগ।
যার ফলও হচ্ছে মারাত্মক। কম বয়সী শিশুও আক্রান্ত হচ্ছে শ্বাসকষ্ট এবং চর্মরোগে।
 
এবিষয়ে হাওড়া পুরসভার যুক্তি, বিষয়টি দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের দেখার কথা। কিন্তু তারা সেই কাজ ঠিকমত না করাতেই পরিস্থিতি জটিল আকার নিচ্ছে।


হাওড়া পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাবিত্রী দেবী সাউ জানিয়েছেন ছোট ছোট কারখানাগুলি চিমনি উঁচু করার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে। কিন্তু অপেক্ষাকৃত বড় এবং প্রতিষ্ঠিত  কারখানাগুলিই  দূষণ নিয়ন্ত্রণের তোয়াক্কা না করেই উত্পাদন চালিয়ে যাচ্ছে।