ওয়েব ডেস্ক: এক লাখ টাকার দেনা। তা মেটাতে না পেরে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত গোটা পরিবারের! স্ত্রীর গলা ও ছেলের হাতের শিরা কেটে আত্মঘাতী এক প্রৌঢ়। মরতে গিয়েও প্রাণে বেঁচে গেছেন স্ত্রী ও ছেলে। সোমবার এমন ঘটনার সাক্ষী রইল সোদপুর। ফ্ল্যাটবাড়ি নাকি হত্যাপুরী? ভেবে থই পাচ্ছেন না  সোদপুরের এই আবাসনের বাসিন্দারা। এমন কাণ্ডও ঘটতে পারে! ভেবে শিউরে উঠছেন  প্রতিবেশীরা। এই আবাসনের চারতলার একটি ফ্ল্যাটে তিনজনের সংসার। বিপ্লব ব্যানার্জি, স্ত্রী তন্দ্রা আর ছেলে সুমন। সোমবার তন্দ্রাদেবীর চিত্‍কার শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। দেখা যায়, একটি ঘরের মেঝেয় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছটফট করছেন তিনি। কাটা নলি থেকে বেরিয়ে আসা রক্তে ভিজে যাচ্ছে পোশাক। পাশের ঘরে মেঝেয় পড়ে ছেলে সুমন। দুহাতের শিরা কাটা। তিনিও কাতরাচ্ছেন। অন্য ঘরে সিলিং থেকে ঝুলছে অবসরপ্রাপ্ত কর্মী বিপ্লব ব্যানার্জির দেহ। তড়িঘড়ি তন্দ্রা ও সুমনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।  একটু স্থিতি আসতেই তাঁরা জানান, দেনায় ডুবে যাওয়ায় অবসাদে ভুগছিলেন তাঁরা। বাড়ছিল পাওনাদারদের চাপ। তাই সপরিবারে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন যে বিমান বন্দর রাষ্ট্রপ্রধান থেকে বিজনেস টাইকুনদের মনের বয়স বাড়তে দিচ্ছে না!


ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিস। তাতে কার কাছে কত দেনা, তার উল্লেখ রয়েছে। সুইসাইড নোটে দেনার পরিমাণ প্রায় এক লক্ষ টাকা আর এতেই বাড়ছে পুলিসের সন্দেহ। এক লক্ষ টাকা দেনার জন্য এত বড় সিদ্ধান্ত নিল গোটা পরিবার?দু'রকম কালিতে লেখা সুইসাইড নোট ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের। সোদপুরের ঘটনা নিছক আত্মহত্যা? নাকি এর পিছনেও রয়েছে খুনের গন্ধ? খতিয়ে দেখছে পুলিস। তন্দ্রা ও সুমনের ট্রমা কাটলে তাঁদের আরও খুঁটিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান গোয়েন্দারা।


আরও পড়ুন  জানেন ভারতীয় ক্রিকেটে সবথেকে কিপ্টে ক্রিকেটার কে?