ওয়েব ডেস্ক: মুর্শিদাবাদে আরও একটি অনুমোদনহীন মাদ্রাসার হদিশ পেল এনআইএ। মুর্শিদাবাদের মুকিমনগরের পর এবার ডোমকলের ঘোড়ামারা।  তিরিশ কাটা জমির ওপরে গড়ে ওঠা এই মাদ্রাসায় খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডের মূল পান্ডা শাকিল গাজির নিয়মিত যাতায়াত ছিল বলে তদন্তে জানতে পেরেছে এমআইএ। আজ সেখানে তল্লাসি চালায় এনআইএ টিম। মাদ্রাসাটি থেকে বেশকিছু নথি উদ্ধার হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শাকিল গাজির বেলডাঙার ডেরা ও শিমুলিয়ায় অমুমোদনহীন মাদ্রাসায় তল্লাসি চালিয়ে অনুমোদনহীন এই মাদ্রাসার সন্ধান পায় এনআইএ। এই মাদ্রাসার থেকে মাত্র ৬ কিমি দুরেই ছিল করিমপুরের বারবাকপুরে ছিল শাকিল গাজির শ্বশুর বাড়ি। মাদ্রাসার কাছেই বারো কাঠা জমিও কিনেছিল শাকিল। অবৈধ মাদ্রাসার মূল শিক্ষক  মাদ্রাসার মূল শিক্ষক আব্দুল মজিদের বাড়ি ছিল ভগবানগোলায়। ঘটনার পর থেকে সেও বেপাত্তা।


খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণস্থল থেকে প্রচুর সামগ্রী উদ্ধার করে অন্যত্র সরাল NIA। তার মধ্যে ১০৩ রকমের রাসায়নিক পদার্থও রয়েছে। ওই সব পদার্থের রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ফের যাতে বিস্ফোরণ না ঘটে, তাই লোকালয় থেকে সেগুলি নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে গেলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।  গতকাল দুপুরে ডিএসপি জয়েন্দ্র সিংয়ের নেতৃত্বে NIA-র তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল খাগড়াগড়ে হাসান চৌধুরীর বাড়িতে যায়।


প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে অতি সাবধানতার সঙ্গে জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করেন তাঁরা। বিভিন্ন রকমের অ্যাসিড টিনের ট্রাঙ্কে ভরে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। NIA টিমের সঙ্গে CID ও রাজ্য পুলিসও ছিল।  সিজার লিস্ট মিলিয়ে প্রায় তিনশো সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। যে আলমারি থেকে পঞ্চাশটি গ্রেনেড মিলেছিল, সেই আলমারিটিও নিয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। উদ্ধার করা হয়েছে নিহত শাকিল গাজীর বিছানা, টেবিল সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম।