ওয়েব ডেস্ক: ফের পিছোল অনুব্রত-হুমকি মামলার শুনানি। পাড়ুই পুলিসের গাফলতিতে কোর্টের সমনই পৌছল না মামলায় সাক্ষ্যদানকারী পুলিস অফিসারদের কাছে। বিচারকের নির্দেশ সত্ত্বেও সিউড়ি কোর্টে সাক্ষ্য দিতে হাজির হলেন না তত্কালীন পুলিস অফিসাররা। বিরোধীদের অভিযোগ,  পিঠ বাঁচাতেই মামলা লঘু করার চেষ্টা করছে পাড়ুই পুলিস।

COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১৭ জুলাই, ২০১৩


পুলিসকে বোমা মারার হুমকি দিয়েছিলেন খোদ শাসকদলের জেলা সভাপতি। দুবছর হয়ে গেলেও সেই মামলার বিচারই শেষ হল না । উল্টে ফের পিছিয়ে গেল শুনানি। আদালত সূত্রে খবর,


গত নয় এবং দশই ডিসেম্বর সিউড়ি কোর্টের বিচারক ইন্দ্রনীল চ্যাটার্জি সমন জারি করেন। আদালতের জিআরও মারফত সেই সমন পৌছে যায় পাড়ুই পুলিসের কাছে। কিন্তু সেই নির্দেশনামা সাক্ষ্যদানকারী পুলিস অফিসারদের কাছে পৌছে দেয়নি পাড়ুই পুলিস।  


ফলে বিচারকের নির্দেশ সত্ত্বেও আদালতে সাক্ষ্য দিতেই হাজির হলেন না তত্কালীন পুলিস অফিসাররা। আরও পিছিয়ে গেল শুনানি। কিন্তু কেন পৌছল না নির্দেশনামা?
পাড়ুই থানার পুলিস এবং সরকারি আইনজীবীদের মুখে কুলুপ। আর এখানেই বিরোধীদের অভিযোগ,


মামলা লঘু থেকে লঘুতর করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিস। অনুব্রত মণ্ডলের ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট হওয়ার পরেও এখনও কেন সেই তথ্য পেশ করা হল না? যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ পেশ হলে কোর্টের রায় অনুব্রতর বিপক্ষে যেতে পারে। কোপ পড়তে পারে পাড়ুইয়ের পুলিসের ওপরেই। সে কারণেই রাজনৈতিক ক্ষমতার কাছে মাথা নত করছে পুলিস।


ফলে মামলার ভবিষ্যত্‍ই আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়ল। শাসকদলের নেতা হওয়ার কারণেই কি পুলিসকে বোমা মারার হুমকি দিয়েও শেষ পর্যন্ত ছাড় পেয়ে যাবেন অনুব্রত মণ্ডল, প্রশ্ন বিরোধীদের।