ওয়েব ডেস্ক : মহেশতলার রবীন্দ্রনগরের পর বারুইপুরের বেগমপুর। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ফের বড়সড় অস্ত্র কারখানার হদিশ পেল পুলিস। মণ্ডলপাড়ায় বেআইনি ওই অস্ত্র কারখানা থেকে উদ্ধার হয়েছে বন্দুক, গুলি সহ অস্ত্র তৈরির প্রচুর সরঞ্জাম। গ্রেফতার করা হয়েছে চারজনকে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বেগমপুর মণ্ডলপাড়ায় বাপি হালদারের বাড়িতে হানা দেয় বারুইপুর থানার পুলিস। উদ্ধার হয় একটি দেশি পিস্তল, উনিশ রাউন্ড গুলি,ষোলো রাউন্ড ছররা, এক বস্তা গুলির খোল, বন্দুক ও গুলি তৈরির কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- টাটার কারখানা ভাঙতে এবার ব্যবহার হচ্ছে টাটাদেরই গাড়ি


ধানক্ষেতের মধ্যে একলা দাঁড়িয়ে থাকা একটা বাড়ি। ঘাপটি মেরে সেখানেই চলত বেআইনি অস্ত্র তৈরির কারবার। বারুইপুরের বেগমপুরে অস্ত্র কারখানার তদন্তে এমনই দাবি পুলিসের। বাপি হালদারের বাড়ি থেকে পাওয়া বেআইনি অস্ত্রের চেয়েও পুলিসকে অবাক করেছে উদ্ধার হওয়া এক বস্তা গুলির খোল। এম্পটি ক্যাট্রিজ বা ব্যবহৃত গুলির খোল দেখে গোয়েন্দাদের সন্দেহ, আগ্নেয়াস্ত্রর পাশাপাশি গুলিও তৈরি হোত ওই ডেরায়। পুলিসের অনুমান সত্যি হলে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় এটা নতুন ট্রেন্ড। বাড়ির মালিক বাপি হালদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। যদিও বাপির পরিবারের দাবি, সে কোনওভাবেই অস্ত্র তৈরির সঙ্গে যুক্ত নয়। পুলিস যেটাকে অস্ত্র কারখানা বলে দাবি করছে, সেটা আদতে বাজি কারখানা। বাপির ভগ্নীপতি নরেন্দ্রনাথ মণ্ডলকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস। নরেন্দ্রনাথ পেশায় শিক্ষক। আর কারা কারা এই অস্ত্র কারবারের সঙ্গে যুক্ত তাদের তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস।