২৪ ঘণ্টার খবরের জেরে অবশেষে পোষা ময়ূর দুটি বন দফতরকে ফিরিয়ে দিলেন বড়জোড়ার তৃণমূল বিধায়ক আশুতোষ মুখার্জি। কিন্তু বন্যপ্রাণ আইন ভাঙার পরেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি বন দফতর। শাসক দলের বিধায়ক বলেই কি ছাড়, উঠছে প্রশ্ন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শাসক দলের বিধায়কের শখ বলে কথা! তাই আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বড়জোড়ার খাড়াড়ি গ্রামে তৃণমূল বিধায়ক আশুতোষ মুখার্জির বাড়ির খাঁচায় দিব্যি বেড়ে উঠছিল ময়ূর। গোল বাধল মঙ্গলবার চব্বিশ ঘণ্টায় এই খবর সম্প্রচারের পর। দৃশ্যতই  চরম অস্বস্তিতে বনমন্ত্রী ।  বিতর্ক এড়াতে অবশেষে  রাত পোহাতেই  বিধায়ক ময়ূর জোড়া ফেরালেন বনদফতরে। যদিও তাঁর সাফাই।


কিন্ত কী আশ্চর্য,  উল্টো কথা বলছেন পশু চিকিত্‍সক! শুধু বিধায়কই নন। আশুতোষ মুখার্জি জেলার অনারারি ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেনও বটে। এভাবে ময়ূর পোষা যে বেআইনি, তা কি তিনি জানতেন না? বিধায়ক যাই বলুন, ময়ূর দুটি বছরখানেকেরও বেশি তাঁর বাড়িতে ছিল বলেই স্থানীয় সূত্রের খবর। আইনত যা দণ্ডনীয় অপরাধ। বন্যপ্রাণ আইন অনুযায়ী, ময়ূর সিডিউল ওয়ান শ্রেণিভুক্ত পাখি। সিডিউল ওয়ানে শ্রেণিভুক্ত কোনও বন্যপ্রাণী, পাখি, সরীসৃপকে অনুমতি ছাড়া পুষলে তা জামিন অযোগ্য অপরাধ।


দোষ প্রমাণ হলে সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত জেল। ১০ হাজার টাকা জরিমানা। তাহলে কেন ছাড় পাবেন বিধায়ক?  অস্বস্তি এড়াতে বৃহস্পতিবার সারাদিনই সংবাদমাধ্যমকে এড়িয়ে যান বিধায়ক। অন্যদিকে আইন ভাঙার প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও আশুতোষ মুখার্জির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার সাহসটুকুও দেখায়নি বন দফতর। প্রশ্ন উঠছে, শাসক দলের তকমাকে ঢাল করে আইন ভাঙার এই বেপরোয়া প্রবণতার শেষ কোথায়?