ওয়েব ডেস্ক: সেই ঐতিহাসিক ভাষণটা এখনও কানে বাজছে। ইউনেস্কো থেকে ওয়েম্বলি লক্ষ করতালি আর হাজার হাজার কালো মাথার উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে  'নিজস্ব উর্দি' কুর্তাধারী মোদী বলেছিলেন, "চায়ে বেচতে বেচতে ইহা আ গেয়ে"। রেল স্টেশনে চা বিক্রি করা ছোট্ট এক ছেলে ২০১৪-এর পর গুজরাটের আমেদাবাদ থেকে আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া যেখানে যখন চাইছেন, যাচ্ছেন। ইনিই নরেন্দ্র মোদী। ভারতের প্রধামন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর ইংরাজি, বাংলা, হিন্দি, মারাঠি, তামিল, তেলেগু, অসমিয়া সব দৈনিকেরই প্রথম পাতার শিরোনামে উঠে এসেছিলেন এই 'চাওয়ালা'। ভোটের আগেও লড়াই ছিল চাওয়ালা (নরেন্দ্র মোদী) বনাম যুবরাজ (রাহুল গান্ধি)। রাজনৈতিক লড়াইয়ে যুবরাজ বিরোধীই থেকেছেন, আর মসনদে এসেছেন চায়েওয়ালা। এমন আরেক চায়েওয়ালার গল্প আছে বাংলাতেও। ইনি বামেদের চায়েওয়ালা। শুধু বামই বা বলি কেন! কংগ্রেসের চাওয়ালা তিনিই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আড়ংঘাটা স্টেশনে ঘুমটি মত চায়ের দোকান। বাবা রঙ্গলাল এখন কিছুই করে উঠতে পারেন না। ছোট্ট সংসারে রোজগারের 'এপিসেন্টার' ওই চায়ের দোকান। বাবুসোনাই চায়ের দোকানের ম্যানেজার, বাবুসোনাই ওই দোকানের কর্মী, বাবুসোনাই মালিক।


বছর ২৬-এর বাবুসোনাই এবারের রানাঘাট উত্তর-পূর্বে সিপিআইএম প্রার্থী। কলজের ছাত্র সংসদে এসএফআইয়ের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা। এরপরই বাম রাজনীতির বাহুডোরে বাঁধা পড়েছেন তিনি। আড়ংঘাটা লোকাল কমিটির সম্পাদক। তারপর জোনাল কমিটির সদস্য হয়ে পঞ্চায়েতের সদস্য বাবুসোনা। চাওয়ালার দৌঁড় ২০১৪-তেই দেখেছে ভারত তথা গোটা বিশ্ব, তবে বাবুসোনাও কম যাননা। এসএফআই থেকে ধাপে ধাপে রাজনৈতিক উথ্যান, এবার ভোটের বাজারে সবথেকে খুদে তিনিই। মাত্র ২৬। তাঁর বিরুদ্ধে এবার লড়ছেন গতবার ৩২ হাজার ভোটে জয়ী তৃণমূলের তুলনামূলক 'হাল্কাওয়েট' সমীরবাবু। লড়াইয়ে আছে ২০১৪ লোকসভায় এই কেন্দ্রে সেকন্ডবয় বিজেপিও।


তাবু চাওয়ালা যেন 'বেফিকর'। 'লড়াই যখন হবেই, তবে মানবিক ভাবেই হোক', নবারুণ ভট্টাচার্যের এই লাইনকে পাথেও করেই লাল ঝাণ্ডার লড়াইয়ে অবিচল বাংলার চাওয়ালা বাবুসোনা সরকার।