ওয়েব ডেস্ক: ছোটো নদী। এমনিতে শান্ত। কিন্তু বর্ষার সময় অন্য রূপ। সারাবছর হাঁটু জল থাকলেও, বর্ষার সময় থইথই। ভাসায় দুকুল। বাঁকা নদীর একুলে বসতপুর ওকুলে সোতলা। তবে একুল ওকুলের কোনও বাদবিসম্বাদ নেই। সোতলার চাষিরা নদি পেরিয়ে বসতপুর যায় চাষ করতে। আবার বসতপুরের পড়ুয়ারা নদি পেরিয়ে পড়তে আসে সোতলা হাইস্কুলে। কোনও সমস্যা নেই। তবে আকাশে মেঘ গুড়গুড় করলেই মুশকিল। বর্ষার জল পেতেই নদী আর শান্ত থাকেনা। ছোট নদী তখন ভয়ঙ্করী। দু-পাড় সবুজ করা নদীর জলে তখন নামে কে?  গত দু-চার বছরের মধ্যেই বর্ষায় নদী পেরোতে গিয়ে জলে ডুবেছে জনা পাঁচেক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন বিপর্যয় ঠেকাতে সুন্দরবনে এল টাওয়ার লাইট


মৃত্যু কী আর থামাতে পারে জীবনকে। ভরা বর্ষাতেও বাঁকা পেরিয়েছে মানুষ। গামলায় সওয়ার হয়ে নদী পেরিয়ে স্কুল গেছে পড়ুয়ারা। কিন্তু কতদিন। একটা বাঁশের সেতু করেছিল গ্রামের লোকেরা। কিন্তু ভরা বর্ষায় সেতু টালমাটাল করে। ভয় লাগে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেই বাঁশের সেতুই পার করত সবাই। আর প্রতিবার ভোটের সময় যে প্রার্থীই ভোট চাইতে আসতেন তাঁর কাছে একটা পাকা সেতুর আবেদন করতেন। প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট পেতেন রাজনৈতিক নেতারা। কিন্তু সেতু পেত না গ্রামবাসীরা। তাই এবার নিজেরাই নিজেদের সেতু তৈরি করছেন।


গতবছর বন্যায়, বসতপুর-সোতলার বাসিন্দারা সরকারের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ পেয়েছিলেন। কম নয়, সবার টাকা মিলিয়ে প্রায় ১০ লাখ টাকা। বসতপুর-সোতলার বাসিন্দারা সেই টাকা খরচ করেনি। সবার টাকা মিলিয়ে একজোট হয়ে লোহার সেতু করছে।


সরকার কবে করবে। সেই আশায় বসে না থেকে এবার নতুন সেতু। এবার সাইকেল চালিয়েই নদী পার করতে পারবে স্কুল পড়ুয়ারা। গ্রামবাসীরা বলছে আরও কিছু টাকা দিয়ে সেতুটা একটু চওড়া করা হবে যাতে শুধু সাইকেল নয় ধান ভর্তি গরুর গাড়িও পার হয়ে যায়।


আরও পড়ুন সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজে শিক্ষকদের বদলির নিয়ম চালু করার পরিকল্পনা সরকারের