বাংলা এখন ক্রাফট হাব, শীতলপাটি আর কাঠের মুখোশ নিয়ে বিদেশে ভ্রমণে শিল্পীরা
কোচবিহারের শীতলপাটি আর দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমুন্ডির কাঠের মুখোশ। বহু চর্চিত এই দুই হস্তশিল্প প্রায় সকলেরই জানা। একটা সময়ে প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছিল বাংলার প্রাচীন এই হস্তশিল্প। কিন্তু সরকারি উদ্যোগে ক্রাফট হাব গড়ে এখন বিশ্বের দরবারে শীতলপাটি ও মুখোশশিল্প।
ব্যুরো:কোচবিহারের শীতলপাটি আর দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমুন্ডির কাঠের মুখোশ। বহু চর্চিত এই দুই হস্তশিল্প প্রায় সকলেরই জানা। একটা সময়ে প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছিল বাংলার প্রাচীন এই হস্তশিল্প। কিন্তু সরকারি উদ্যোগে ক্রাফট হাব গড়ে এখন বিশ্বের দরবারে শীতলপাটি ও মুখোশশিল্প।
কোচবিহারের ঘুঘুমারি। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এখানেই গড়ে উঠেছে রুরাল ক্রাফট হাব। একসময়ে এই এলাকার শীতলপাটির কাজ নজর কেড়েছিল দেশ-বিদেশে। কিন্তু নানান অসুবিধায় প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছিল এই শিল্প। রাজ্যের উদ্যোগে ফের মানুষের দরবারে এই প্রাচীন হস্তশিল্প।
এখানে শুধু যে কাজই হচ্ছে তা নয়, বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কম্পিউটার শিক্ষার মাধ্যমে শিল্পীদের ব্যক্তিত্ব বিকাশের কাজও চলছে। প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো দিচ্ছে রাজ্য। শিল্পীরা জানাচ্ছেন, একটা সময়ে একদিনের রুটি-রুজি নিয়েও যথেষ্ট চিন্তায় থাকতেন তারা। আর এখন , নিয়মিত রোজগারে হাসি ফুটেছে তাদের মুখে।
শুধু কী ঘুঘুমারি, কুশমুন্ডির মহিষবাথানেও তৈরি করা হয়েছে ক্রাফ্ট হাব। যেখানে দিন-রাত এক করে কাজ করছেন শিল্পীরা। তৈরি হচ্ছে কাঠের মুখোশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের মুখোশ নাচ এবং স্থানীয় স্তরেই ব্যবহৃত হত এই মুখোশ। ফলে রোজগার তেমন ছিল না বললেই চলে। কিন্তু বর্তমানে মহিষবাথানের এই শিল্প পাড়ি দিয়েছে বিদেশেও। শুধু কী শিল্প, বিদেশে যাওয়ার সুযোগ মিলেছে শিল্পীদেরও।
দক্ষতা ও গুনমানের পাশাপাশি উপার্জনও যে কয়েকগুন বেড়েছে তা স্বীকার করছেন শিল্পীরা নিজেরাই।