ওয়েব ডেস্ক: ফোটা নিতে অথবা দিতে। দুপক্ষেরই আগ্রহের শেষ নেই। ভাইফোটা বলে কথা। সেই ভাইফোটারই কিছু অন্য চিত্র। ফোটা দেওয়া হয়েছে, ফোটা নেওয়া হয়েছে। হয়েছে খাওয়াদাওয়া, তবে পরিপ্রেক্ষিত একটু ভিন্ন। এখন সেইরকময় কয়েকটি ঘটনা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভাইফোটার সঙ্গে গাছের কী সম্পর্ক? দূর্বা ঘাঁস লাগে বটে। কিন্তু শিরিশ কিম্বা শাল! সম্পর্ক আছে, চিপকো আন্দোলনের মহিলারা যে সম্পর্কের কথা বলেছিলেন, সেই সম্পর্কের ধারা বেয়ে গাছকে ফোটা দিলেন আসানসোলের নিয়ামতপুরের কয়েকজন তরুণী। ধান-দুর্বা দিয়ে বরণ করে গাছে ফোটা দিয়ে যমের দুয়ারে কাটা দিলেন বোনেরা।


আরও পড়ুন- বাড়ির লোক আর ওদের ফেরত নিয়ে যায়নি, তাই ভাইফোঁটা হল হাসপাতালেই


হেলমেট হীন বাইক আরোহী ভাইদের বহুবার বলেও হয়নি কিছুই। সেই যেই কে সেই। হেলমেট ছাড়াই বাইক চালানো। বোনরা আর কী করে। পুলিস বোনরা হাওড়ায় ভাইদের বাইক আটকে ফোটা দিলেন।


এখানেই শেষ নয়, বনগাঁয় পুলিস বোনরা ফোটা দিলেন তাঁদের। যাদের কেউ নেই। বনগাঁর পেট্রাপোলে ভবঘুরে আবাসনের প্রায় সত্তরজনকে ফোটা দিলেন পুলিস কর্মীরা।


বারাসতেও প্রায় একই ধরণের ঘটনা। বারাসত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এমন বহুমানুষ যাঁরা সুস্থ হওয়ার পরও ফিরে যাননি, মানে তাদের আর কেউ ফিরিয়ে নিয়ে যায়নি। রয়ে গেছেনে হাসাপাতালেই। ফোটা পেলেন তাঁরাও।


আরও পড়ুন- ভাইফোঁটায় তিল ধারণের জায়গা নেই ছোট-বড় মিষ্টির দোকানে


ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে দক্ষিণ দিনাজপুরের চিঙ্গিস পুরে স্থানীয় মহিলারা উদ্যোগ নিয়ে ভাইফোটা দিলেন সীমান্তে প্রহারা রত বিএসএফ জওয়ানদের। ভাইফোটা পেল অনাথ আশ্রমের বাসিন্দারাও। পুরুলিয়া, রায়গঞ্জ, জলপাইগুড়ি রাজ্যের প্রায় সবকটি অনাথ আশ্রমে আয়োজন করা হয়েছিল ভাইফোটার। ভাইফোটার দিনে প্রাপ্তি, কেউ নেই -এ দুঃসহ বিষাদ থেকে ক্ষণিকের জন্য হলেও একটু মুক্তি।