ওয়েব ডেস্ক: আগুনে পুড়েই মৃত্যু হয়েছে ভাঙড়ের মহিলার। ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টের পর নিশ্চিত পুলিস। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ধর্ষণ ও খুনের পর প্রমাণ লোপাটের জন্যই মহিলার দেহ পুড়িয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা।অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। শীতের রাত।  শুনসান রাস্তাঘাট। আধঘুমে ভাঙড়। সোমনাথ কলোনির সামনের রাস্তা দিয়ে ফিরছিলেন এক ব্যক্তি। আচমকাই রাস্তার ধারে আগুন দেখে থমকে দাঁড়ান। কাছে গিয়ে ঠাহর করতেই বোঝা গেল পুড়ছে তরুণীর দেহ। কিছুক্ষণের মধ্যেই জড়ো হয়ে যায় লোকজন। খবর যায় কাশীপুর থানায়। ধর্ষণ ও খুনের পর প্রমাণ লোপাটের জন্যই দেহ পোড়ানোর চেষ্টা করেছে দুষ্কৃতীরা। দাবি এলাকার মানুষের। যেখানে দেহ উদ্ধার হয়েছে, তার খুব কাছে সংহিতা আবাসন প্রকল্প।  এলাকার মানুষের অভিযোগ, সন্ধের পর থেকে সমাজবিরোধীদের আখড়া হয়ে ওঠে প্রকল্প চত্বর। চলে অসামাজিক কাজকর্ম। সব জেনেও মুখে কুলুপ কাশীপুর থানার। দেহ উদ্ধারের পরই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। সংহিতা প্রকল্পের ঠিকাদারির বরাত নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গোলমাল চলছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা নান্নু হোসেন ও আরাবুল ইসলাম গোষ্ঠীর মধ্যে। ঘোলাজলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে দুপক্ষই।  সমাজবিরোধীদের মদত দেওয়ার অভিযোগে সরব দুই শিবিরই। মহিলা কে ? কে বা কারা খুন করে তার দেহ ফেলে গেল তা নিয়ে গাঢ় হচ্ছে ধোঁয়াশা। ইতিমধ্যেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত  শুরু করেছে কাশীপুর থানার পুলিস।