ওয়েব ডেস্ক: সাব স্টেশনের কাজ শেষ করতে মরিয়া গ্রিড কর্পোরেশন। পাওয়ার গ্রিড তৈরি হলে কোনও ক্ষতি হবে না। এবার কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে আশ্বস্ত করার চেষ্টা শুরু করল তারা। প্রত্যেকের সহযোগিতা চাইল গ্রিড কর্পোরেশন। তবে দোলাচলে ভাঙড়বাসী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই সাব স্টেশনকে ঘিরেই যত কাণ্ড ভাঙড়ে। অবরোধ-বিক্ষোভ, গুলি, পুলিসের গাড়ি ভাঙচুর, আগুন, বাদ যায়নি কিছুই। অগ্নিগর্ভ ভাঙড় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। গ্রামে ঢুকতে বাধা পায় পুলিস। ভাঙড়কে শান্ত করতে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, গ্রামবাসীরা না চাইলে ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিড তৈরি হবে না। ধীরো ধীরে শান্ত হয় ভাঙড়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে ভাঙড়। ক্ষোভের আঁচ থিতিয়ে আসতে ফের আসরে নেমে পড়ল পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশন। কাজ শেষ করতে মরিয়া তারা। কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রচার শুরু করল গ্রিড কর্পোরেশন।


পাওয়ার গ্রিড তৈরিতে প্রত্যেকের সহযোগিতা চাইল কর্পোরেশন। তাদের দাবি, পাওয়ার গ্রিড তৈরি হলে ফসল, মাছের ভেড়ির ক্ষতি হবে না। জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠকের পর পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশন সচেতনতা বাড়াতে এই বিজ্ঞাপন দিয়েছে।


ভাঙড়ে সাব-স্টেশন কাজ শুরু করলে বদলে যেত দক্ষিণবঙ্গে বিদ্যুত্‍ সরবরাহের চিত্র। রাজ্যে বিদ্যুত্‍ সরবরাহের ক্ষমতা অতিরিক্ত ৩০০ মেগাওয়াট বাড়ত। কলকাতা এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বিদ্যুত্‍ সরবরাহের ক্ষমতা বাড়ত ১০০০ মেগাওয়াট। মুর্শিদাবাদ ও সংশ্লিষ্ট দক্ষিণবঙ্গের এলাকায় সরবরাহ বাড়ত ২০০০ মেগাওয়াট। লোডশেডিং, লো ভোল্টেজের আশঙ্কা কমত। বলছেন বিশেষজ্ঞরা।


গ্রিড কর্পোরেশন বলছে, সাব স্টেশন তৈরি হলে ক্ষতি নেই। কিন্তু দোলাচলে ভাঙড়বাসী। একাংশ সায় দিলেও একাংশ এখনও গ্রিড তৈরির বিরুদ্ধেই। গ্রিড কর্পোরেশন সচেতনতা বাড়াতে কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়েছে। কিন্তু আদৌ কি বাড়বে সচেতনতা? সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।