ওয়েব ডেস্ক : শুধু মফস্বল নয়। শিশু পাচার চক্রের জাল খোদ কলকাতাতেই। বেহালা আর কলেজ স্ট্রিট। শহরের দুই নার্সিংহোম থেকে পাচার করা হত শিশুদের। এব্যাপারে গ্রেফতার করা হয়েছে তিন মহিলাকে। এদের সঙ্গে যোগ ছিল বাদুড়িয়ার নাজমা বিবির। গোয়েন্দাদের নজরে শহরের আরও কয়েকটি নার্সিংহোম। নজরে কয়েকজন চিকিত্‍সকও। বাদুড়িয়ার শিশু পাচার চক্র। গোয়েন্দারা আগেই বুঝেছিলেন, জাল অনেক গভীর।  প্রমাণ মিলল হাতে নাতে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মফঃস্বলের অখ্যাত নার্সিংহোমই নয়। খাস কলকাতার বুকে শিশু পাচারের রমরমা কারবার ফেঁদে বসেছিল চক্রীরা। বৃহস্পতিবার শহরের কয়েকটি নার্সিংহোমে অভিযান চালায় সিআইডি। বেহালার সত্যেন রায় রোডে অত্যন্ত পরিচিত সাউথ ভিউ নার্সিংহোম। নার্সিংহোমের মালিক পুতুল ব্যানার্জি ওরফে বড়দি। সঙ্গী প্রভা প্রামাণিক ওরফে মেজদি। সকালে বড়দির নার্সিংহোমে হানা দেয় সিআইডি। পাচার চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বড়দি-মেজদিকে।


মধ্য কলকাতার বহু পুরনো প্রতিষ্ঠান শ্রীকৃষ্ণ নার্সিংহোম। সন্ধে নাগাদ শুনসান। কিছুক্ষণ আগেই তল্লাশি চালিয়ে গেছেন সিআইডির গোয়েন্দারা। এই হাসপাতালটিও বাদুড়িয়া চক্রে যুক্ত ছিল। গ্রেফতার করা হয়েছে হাসপাতালের কর্ত্রী পারমিতা চট্টোপাধ্যায়কেও। মৃত সন্তান প্রসব হয়েছে। প্রসূতি ও তাঁর পরিবারকে একথা বলেই সদ্যোজাতদের চুরি করত বাদুড়িয়ার সোহন নার্সিংহোম। কলকাতায় বাদুড়িয়ার সেই টেকনিকই আরও ফাইন টিউন করা হয়।


পাচারের জাল


বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে অন্তঃস্বত্তা মহিলাদের নার্সিংহোমে রেখে দেওয়া হত। সন্তান প্রসবের পর তাদের কিনে নিত নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। সময়ের আগে ভূমিষ্ঠ বা অসুস্থ শিশুর ক্ষেত্রে বাবা-মাকে বোঝানো হত শিশু বাঁচবে না। এভাবেই তাঁদের কাছ থেকে শিশুকে নিয়ে নেওয়া হত। কোনও কোনও ক্ষেত্রে প্রায় বছর খানেক ওই শিশুদের রেখে তারপর বিক্রি করা হত। পাচার হওয়া শিশুদের ভুয়ো দত্তকের কাগজপত্র তৈরির দায়িত্বে ছিল বাদুড়িয়ার সুবোধ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট। বাদুড়িয়ায় গ্রাহকদের চাহিদা মত শিশুর জোগান না থাকলে কলকাতার নার্সিংহোমে যোগাযোগ করত নাজমা বিবি চিকিত্‍সকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার কাজ করত গাইঘাটার তপন বিশ্বাস। সিআইডির আশঙ্কা, কলকাতা এবং শহরতলির আরও কয়েকটি নার্সিংহোম বাদুড়িয়ার এই চক্রে জড়িত। নজরে রয়েছে শহরের কয়েকজন চিকিত্‍সকও।