বীরভূমের খয়রাশোলে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বাঁধার সময় বিস্ফোরণ, মৃত ২
বীরভূমের খয়রাশোলে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বাঁধার সময় বিস্ফোরণ। বোমা ফেটে মৃত্যু হল তাঁর দুই ভাইয়ের। বাড়িটি তৃণমূল নেতা শেখ জাবির হোসেনের। তিনি পাঁচড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। গতরাতে আহমেদপুরে তাঁর বাড়িরই গোয়ালঘরে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল। অভিযোগ, তৃণমূল নেতার দুই ভাই তারিক হোসেন ও হাফিজুল শেখ ছাড়াও আরও ছ-সাত জন সেখানে ছিল।
ওয়েব ডেস্ক: বীরভূমের খয়রাশোলে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বাঁধার সময় বিস্ফোরণ। বোমা ফেটে মৃত্যু হল তাঁর দুই ভাইয়ের। বাড়িটি তৃণমূল নেতা শেখ জাবির হোসেনের। তিনি পাঁচড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। গতরাতে আহমেদপুরে তাঁর বাড়িরই গোয়ালঘরে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল। অভিযোগ, তৃণমূল নেতার দুই ভাই তারিক হোসেন ও হাফিজুল শেখ ছাড়াও আরও ছ-সাত জন সেখানে ছিল। বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা দু-জনের বেশি বলে দাবি স্থানীয়দের। অভিযোগ, ঘটনার পরই বাকি দেহগুলি লোপাট করে দেওয়া হয়। আহতদেরও কয়েকজনকে আসানসোল দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয় বলে দাবি গ্রামবাসীদের। ঘটনাস্থলে ঘিরে রেখেছে খয়রাশোল থানা ও দুবরাজপুর থানার বিশাল পুলিসবাহিনী। RAF-ও নামে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে, বাড়ির একাংশ উড়ে যায়। জোরালো শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা গ্রাম।
বিস্ফোরণের জেরে ফের একবার বিরোধী নিশানায় তৃণমূল। রাজ্যের শাসকদলই যখন দুর্নীতিতে জড়িত তখন আইনশৃঙ্খলা তলানিতে। স্বাভাবিকভাবেই ঘটছে পিংলা খয়াশোলের মতো ঘটনা। দাবি সিপিএম নেতা রামচন্দ্র ডোমের।
বাড়িতে বোমা বাঁধার অভিযোগ এককথায় উড়িয়ে দিয়েছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শেখ জাবির হোসেন। তাঁর দাবি, ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই খুন হয়েছে তার দুই ভাই। বাড়ি লক্ষ্য করে, বাইরে থেকে বোমা ছোঁড়া হয়। খয়রাশোলে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ। বাড়ির মালিক জাবির হোসেন যে দলেরই সদস্য, মানছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষ, আপাতত এটুকু বলেই দায় ঝেড়ে ফেলতে ব্যস্ত তাঁরা।
বীরভূমের খয়রাশোলের বিস্ফোরণ, আরও একবার মনে করিয়ে দিল পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলাকে। গত বছর ৬ মে, পিংলার ব্রাহ্মণবাড়ে একটি বাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ১৩ জনের। বাড়ির মালিক রঞ্জন মাইতি তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বাড়িতে জমানো ছিল বোমা তৈরির প্রচুর মালমশলা। দাবি করা হয়, বাজি তৈরি হত ওই বেআইনি কারখানায়। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, এর আড়ালে বোমার কাজকারবার চালাচ্ছিলেন ওই তৃণমূল কর্মী। তদন্তে নামে সিআইডি। গ্রেফতারও হয় অভিযুক্ত রঞ্জন মাইতি। গতরাতে খয়রাশোলের বিস্ফোরণেও নাম জড়িয়েছে তৃণমূলেরই এক পঞ্চায়েত সদস্যের।তাঁরও বাড়িতে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ হয়। অভিযোগ, মজুত করা ছিল বোমার মালমশলা। একের পর এক এধরনের ঘটনাই প্রমাণ করছে, সন্ত্রাসের রাজত্ব চালাতে চাইছে তৃণমূল। অভিযোগ বিরোধী দলগুলির।