ওয়েব ডেস্ক: এফআইআরে মা জানিয়েছিলেন, শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে বাধ্য হয়েই আত্মহত্যা করেছে মেয়ে। সেই বয়ান বদলে গেল কলকাতা হাইকোর্টে। শিউড়ে উঠলেন বিচারপতি। অভিযুক্ত স্বামীকে অবশ্য জামিন দেয়নি আদালত। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চাহিদা অনুযায়ি মেলেনি পণ। তাই শ্বশুরবাড়িতে বৌমাকে গঞ্জনা। সহ্য না করতে পেরে একদিন আত্মহত্যার পথই বেছে নিল সেই মেয়ে।


আইনজীবী প্রসূন দত্তের মন্তব্য, 'এঘটনা এদেশে নতুন নয়'। কিন্তু শান্তিপুরের পিঙ্কি দাসের এই পরিণতি জেনে শিউরে উঠলেন স্বয়ং বিচারপতি। মৃত্যুর পর পিঙ্কির মা থানায় জানিয়েছিলেন অত্যাচারে বাধ্য হয়েই আত্মহত্যা করেছে পিঙ্কি। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টে বয়ান গেল সম্পূর্ণ বদলে। মা জানালেন আত্মহত্যার প্রবনতা ছিল, তাই মরেছে মেয়ে।


ঘটনা যে চেপে যাবার চেষ্টা করা হচ্ছে বুঝতে দেরি হয়নি বিচারপতি অসীম কুমার রায়ের। তিনি বলেন, গরীব দেশ আমাদের। আগে এখানে মেয়েদের একবার বেচা হত। এখন দুবার হয়। বিয়ের আগে একাবার, আর অভাগা মেয়ে মরার পর আরেকবার। মামলায় সব পক্ষের কথা শুনে পিঙ্কির অভিযুক্ত ননদকে জামিন দেন বিচারপতি। যদিও ছাড়া হয়নি স্বামীকে।