ওয়েব ডেস্ক: জলপাইগুড়ির শিশু পাচারে দিল্লি কানেকশন।হোমের মালকিন চন্দনা চক্রবর্তীকে নিয়ে প্রায়ই দিল্লিতে দরবার করতেন বিজেপি নেত্রী জুহি চৌধুরী। সঙ্গে থাকতেন জুহির বাবা রবীন্দ্রনাথ চৌধুরীও। নর্থ ব্লকে  এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতেন দুজনে। সেই ফুটেজও হাতে এসেছে CID-র। চক্রান্তে জড়িত আরও বড় মাথার খোঁজ শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। নাম কা ওয়াস্তে সরকারি প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। তার আড়ালে  চন্দনা চক্রবর্তী চালাতেন বেসাতি। তাঁর হোমে নিলামের ঢঙে বুলি হেঁকে বিক্রি হত শিশু! প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে একাজ চালাতে রীতিমতো আটঘাঁট বেঁধে এগোন চন্দনা। অভিযোগ, সাহায্য মেলে  বিজেপি মহিলা মোর্চার সাধারণ সম্পাদক জুহি চৌধুরীর। তিন-তিনটে হোমের কোনওটিরই দিল্লির সেন্ট্রাল অ্যাডপটেশন সেন্টারের ছাড়পত্র ছিল না। তাই প্রায়ই হোম চালাতে সমস্যার মুখে পড়তেন চন্দনা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, মুস্কিল আসান ছিলেন জুহি। বিজেপির মহিলা মোর্চার সাধারণ সম্পাদক প্রায়ই চন্দনাকে নিয়ে দিল্লির ক্ষমতার অলিন্দে যাতায়াত করতেন। CID তদন্তকারীদের দাবি, ১০ ফেব্রুয়ারি চন্দনা চক্রবর্তীকে নিয়ে দিল্লি যান জুহি চৌধুরী।জুহি-চন্দনার সঙ্গে ছিলেন জুহির বাবা বিজেপি নেতা রবীন্দ্রনাথ চৌধুরী।জুহি চন্দনাকে নর্থ ব্লকে দাপুটে এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে নিয়ে যান।ওই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিবের সঙ্গে জুহির কথোপকথনের রেকর্ড হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। একইদিনে চন্দনাকে  নিয়ে আরও একটি কেন্দ্রীয় মন্ত্রকে যান জুহি। সেদিন জুহি-চন্দনার নর্থ ব্লকে ঢোকার ফুটেজ হাতে এসেছে CID-র।CID সূত্রে খবর... রবিবারও চন্দনাকে নিয়ে দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল জুহির। সেই অনুযায়ী রাজধানী এক্সপ্রেসের টিকিটও কাটা হয়। কিন্তু, তার আগেই CID-র  জালে ধরা পড়ে যান চন্দনা চক্রবর্তী। তদন্তকারীরা বলছেন, শিশু নিলামে সরাসরি জড়িয়ে বিজেপি নেত্রী জুহি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন বিপন্ন শৈশবকে মাঠে নেমে খেলার সুযোগ দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী


সেন্ট্রাল অ্যাডপটেশন সেন্টারের ছাড়পত্র জুটিয়ে দেওয়া।বেআইনিভাবে দত্তকের কারবার চালানো চন্দনা চক্রবর্তীকে সাহায্য করা।বিমলা শিশুগৃহ সহ চন্দনা চক্রবর্তীর অন্যান্য হোমে কেন্দ্রীয় অনুদান পাইয়ে দেওয়া। কিন্তু, জুহির কি সত্যিই সেই ক্ষমতা ছিল? এরাজ্যে মহিলা মোর্চার সাধারণ সম্পাদকের একার দক্ষতায় কি নর্থ ব্লকের অলিন্দে সুপারিশ করা সম্ভব? তদন্তকারীরা নিশ্চিত, তা সম্ভব নয়। তাঁরা বলছেন, মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কাজ করতেন আরও বড় কোনও মাথা। প্রভাবশালী ওই ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কের জোরেই ক্ষমতা সবোর্চ্চ স্তরে অনায়াস যাতায়াত ছিল জুহির।আপাতত সেই ব্যক্তিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে CID। জুহির মোবাইল কল রেকর্ড খতিয়ে দেখে সেই প্রভাবশালী ব্যক্তিকে জিরো ডাউন করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।


আরও পড়ুন  বাগুইআটির স্কুল ভাঙার ঘটনা নিয়ে দলকে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী