আধুনিক সরঞ্জাম দিয়ে ঢেলে সাজানো হচ্ছে রাজ্যের বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড
বোলপুর থেকে মালদা। বোমা নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে বেশকয়েকজন সিআইডি কর্মীর। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় বেঘোরে প্রাণ হারাতে হয়েছে বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডের কর্মীদের। এবার তাই আধুনিক সরঞ্জাম দিয়ে ঢেলে সাজানো হচ্ছে বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডকে। ইজরায়েল, মার্কিন মুলুক থেকে আনা হচ্ছে অত্যাধুনিক সরঞ্জাম।
ওয়েব ডেস্ক: বোলপুর থেকে মালদা। বোমা নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে বেশকয়েকজন সিআইডি কর্মীর। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় বেঘোরে প্রাণ হারাতে হয়েছে বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডের কর্মীদের। এবার তাই আধুনিক সরঞ্জাম দিয়ে ঢেলে সাজানো হচ্ছে বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডকে। ইজরায়েল, মার্কিন মুলুক থেকে আনা হচ্ছে অত্যাধুনিক সরঞ্জাম।
বোলপুরে বোমা নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে মৃত্যু এক বম্ব ডিসপোজাল কর্মীর। আলিপুরদুয়ারে আইডি নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে মৃত্যু লালবাহাদুর লোহার নামে আরও এক পুলিস কর্মীর, গুরুতর আহত হন তাঁর সঙ্গী অসিত মুখার্জি। মালদার বৈষ্ণবনগরে দেশি বোমা মশলা নষ্ট করতে গিয়ে বিস্ফোরণ, মৃত্যু দুই সিআইডি কর্মী বিশুদ্ধানন্দ মিশ্র ও সুব্রত চৌধুরীর।
২০০৭ এ লালগড়ে ঝিটকার জঙ্গলে মাওবাদীদের ফেলে যাওয়া ল্যান্ডমাইন নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডের দুই কর্মী। তারপরেও বোমা নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েজন সিআইডি কর্মী। এবার তাই রাজ্যের বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড ও অ্যান্টি স্কোয়াড অপারেশনকে ঢেলে সাজাতে চলেছে রাজ্য। ইজরায়েল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট থেকে আনা হচ্ছে অত্যাধুনিক সরঞ্জাম। ১০ কোটি টাকা খরচ করে আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে হচ্ছে বম্ব ডিজপোজাল স্কোয়াডকে।
বম্ব ডিজপোজাল স্কোয়াডের আধুনিকীকরণ-
বিস্ফোরক চিহ্নিত করতে পারবে এই ডিটেক্টর। নিরাপদ দূরত্ব থেকে বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করতে সাহায্য করবে। ৫০ ফুটের-ও বেশি দূরত্ব থেকে বিস্ফোরক চিহ্নিত করা যাবে, সেখান থেকেই ওই বিস্ফোরককে নিষ্ক্রিয় করা যাবে। বিস্ফোরকে কী ধরণের রাসায়নিক ব্যবহার হয়েছে এবং ঠিক কোন উষ্ণতায় বিস্ফোরণ হতে পারে তা নির্নয় করতে পারে এই যন্ত্র।
বন্ধ বাক্স বা ঘরের মধ্যে ছবি তোলার জন্য উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ক্যামেরা। বোমা নিরাপদে বহন করে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিস্ফোরক নিরোধী বাক্স। বিস্ফোরণ আটকাতে একধরণের বিস্ফোরক প্রতিরোধ চাদর। এখন রাজ্যে বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডে ৮৭ জন কর্মী দশ জায়গায় কাজ করেন। পরিকল্পনা রয়েছে কর্মী সংখ্যা বাড়িয়ে প্রতিটি কমিশনারেট এলাকায় একটি ইউনিট এবং গুরুত্বপূর্ণ জেলা সদরে একটি ইউনিট মোতায়েন করার। যেহেতু এই কাজে ঝুঁকি বেশি তাই এই কর্মীদের বিমার অর্থ দশলক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ লক্ষ করা হয়েছে। ঝুঁকি এড়াতে রিয়েল টাইম ভিউ সিস্টেম নামে একটি যন্ত্র আনা হচ্ছে যার সাহায্যে এক কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয়করণের কাজ মনিটর করা যাবে। বোমা নিষ্ক্রিয়করণের ক্ষেত্রে সিআইডির একটি নিজস্ব ডগ স্কোয়াড তৈরি করা হচ্ছে। খুব দ্রুতই শুরু হয়ে যাচ্ছে বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডের স্মার্ট করার কাজ।