ওয়েব ডেস্ক: বর্ধমান বিস্ফোরণকাণ্ডে নয়া মোড়। মোবাইল ক্লিপিংসে বিস্ফোরক তৈরির অত্যাধুনিক নকশার খোঁজ। শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটাতে সক্ষম নকশা সম্ভবত আনা হয়েছে বিদেশ থেকে। অনুমান গোয়েন্দাদের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ধৃত হাসেম মোল্লা খাগড়াগড়কাণ্ডের লিঙ্কম্যান। বিস্ফোরক সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। পরিচয় ছিল অভিযুক্ত আবুল কালামের সঙ্গে। দাবি সিআইডির। ষড়যন্ত্রের শিকার সে। পাল্টা দাবি হাসেমের।


বর্ধমান বিস্ফোরণকাণ্ডে এবার আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠীর যোগাযোগের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না গোয়েন্দারা। গতকাল ঘটনাস্থলে গিয়ে অত্যাধুনিক বিস্ফোরক তৈরির নকশার হদিশ পান আইবির গোয়েন্দারা। অত্যন্ত শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটানোর উপযোগী ওই নকশা এর আগে ভারতে ব্যবহার করা হয়নি বলেই মত তাদের। সম্ভবত পশ্চিম এশিয়ার কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর থেকে ওই নকশা আমদানি করা হয়েছিল বলে প্রাথমিক সন্দেহ আইবির।


বর্ধমানে বিস্ফোরণস্থল ঘুরে নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের। ধৃত দুই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ। মৃত শাকিল গাজির কললিস্ট থেকে বীরভূমের কীর্নাহারের একটি নম্বরের হদিশ। নম্বরের মালিকের খোঁজে সিআইডি।  


মঙ্গলবার বর্ধমানের খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণস্থলে যান আইবির ষোল জনের গোয়েন্দা দল। ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরক তৈরির বেশ কিছু অত্যাধুনিক নকশার হদিশ মিলেছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর সূত্রের খবর, বিস্ফোরণস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া ভিডিও ক্লিপিংস থেকে খোঁজ মিলেছে ওই নকশার।  গ্রেনেডের নকশা ছাড়াও  উদ্ধার  হয়েছে আরও কিছু নকশা। তাতে কী রকেট লঞ্চার তৈরির নকশাও ছিল?  এমনটাই সন্দেহ  করছেন গোয়েন্দারা। অত্যন্ত শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটনানোর উপযোগী ওই বিস্ফোরণের নকশা এর আগে ভারতে কোনও নাশকতার ঘটনায় ব্যবহার হয়নি বলেই মত গোয়েন্দাদের। তাঁদের সন্দেহ পশ্চিম এশিয়ার কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর থেকে ওই নকশা আমদানি করা হয়েছিল। অত্যন্ত শক্তিশালী বিস্ফোরক তৈরির ওই নকশা বা সার্কিটের  সাহায্যে   ভারতের বুকে কোনও বড়সড় নাশকতা ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল  জঙ্গিদের। প্রাথমিকভাবে এমনটাই মনে করছেন গোয়েন্দারা। কীভাবে ওই নকশা খাগড়াগড়ের ওই বাড়িতে এসেছিল, সেই সূত্রের খোঁজ শুরু করেছেন তাঁরা।