ওয়েব ডেস্ক: বর্ধমান বিস্ফোরণের তদন্তে এবার রহস্যময় তিন ব্যক্তির খোঁজে তল্লাসি শুরু করল পুলিস। তার মধ্যে দুজনের পরিচয় জানা গেছে। একজন মঙ্গলকোটের বাসিন্দা আবুল কালাম। অন্যজন কওসর। ধৃত রাজিয়া বিবি ও আমিনা বিবিকে জেরা করে এঁদের দুজনের নাম জানতে পেরেছে সিআইডি। দুজনেরই যাতায়াত ছিল খাগড়াগড়ের ভাড়াবাড়িতে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মুর্শিদাবাদে ব্যবসার সুবাদেই শাকিল গাজির সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। কওসরের কাজ ছিল খাগড়াগড়ের ভাড়াবাড়ি ও জঙ্গি মডিউলের মধ্যে কেরিয়ারের কাজ করা। কওসরকে খুঁজে বের করতে তাঁর স্কেচ আঁকানো হয়েছে। কিন্তু, কওসরের ওপরেও একজন ছিল। আমিনা বিবি ও রাজিয়া বিবি জেরায় সেই ব্যক্তির উল্লেখ করেছেন। কিন্তু, অজ্ঞাত পরিচয় সেই ব্যক্তির নাম, পরিচয় সবই অজানা। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, ওই ব্যক্তিই জঙ্গি মডিউলের মাথা।  


বর্ধমান বিস্ফোরণের তদন্তে খাগড়াগড়ের ভাড়া বাড়ি থেকে আরও কিছু জঙ্গিযোগের প্রমাণ উদ্ধার করল সিআইডি। রবিবার রাতে সেখানে হানা দেন তদন্তকারীরা। অভিযানে উদ্ধার হয়েছে পাঁচশো টাকার বান্ডিল এবং একটি মেমরি চিপ। সেই মেমরি চিপে রয়েছে তালিবানের প্রশিক্ষণের ভিডিও। রয়েছে আমেরিকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার সাফল্যে জঙ্গিদের উত্‍সব উদযাপনের ছবি। একের পর এক সূত্র থেকে ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে খাগড়াগড়ের ভাড়াবাড়ির বাসিন্দাদের যোগাযোগের প্রমাণ।


বর্ধমান বিস্ফোরণকাণ্ডে ধৃত হাসেম মোল্লার বারোদিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। গতকাল বর্ধমানের পূর্বস্থলী থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিস। এছাড়া গ্রেফতার করা হয়েছে আমিনা বিবির স্বামী আবুল হাকিমকে। গুরুতর জখম আবুল হাকিম এখন বর্ধমান হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এই নিয়ে বর্ধমান বিস্ফোরণ কাণ্ডে মোট চারজনকে গ্রেফতার করল সিআইডি।